চালু পথ না ধরে সঠিক পথে থাকুন; ঐতিহ্যকে সম্মান করুন, সেকেলে অভ্যাসকে নয়
আমি সত্তরের দশকের শেষ দিকে ক্যানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতাম। আমি চীনা ভাষায় একটি কমিউনিটি সংবাদপত্র প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু স্থানীয় প্রিন্টিং হাউস আমাকে কোনও সাহায্য করতে পারে না, কারণ তাদের সে ধরনের টাইপসেটিং ছিল না। ১৯৮০ সালে হংকংয়ে ফিরে আসার পর আমি পত্রিকায় কাজ নিই। তখনও তারা লেটারপ্রেস প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করত। এটি এই ধরনের টাইপসেটিংয়ের মতো।
আমিই প্রথম হংকংয়ে সংবাদপত্র প্রকাশে কম্পিউটার টাইপসেটিং প্রবর্তন করি। এটি কেবল ব্যাপকভাবে কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করেনি, বরং এটি কম্পিউটার প্রযুক্তির সাথে চীনা চরিত্র নির্মাণের সংমিশ্রণের শুরু।
উদ্ভাবন হলো মহা বিমূর্ত ধারণা এবং এর ব্যবহারিক ও ডাটা ব্যবহারের সম্মিলন।
যখন আমরা উদ্ভাবন সম্পর্কে কথা বলি, তখন সেটা কেবল বৈজ্ঞানিক বা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কথা নয়। আমি বলতে চাচ্ছি, উদ্ভাবন সবসময়ই নানা ক্ষেত্রে চীনের ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। চীনের উন্নয়নের সাথে সাথে উদ্ভাবনের চেতনা উপলব্ধি করা সম্ভব। কিন্তু কীভাবে আমরা এটিকে আরও ব্যাপকভাবে বুঝতে পারবো?
জবাবে মি.ইউ পিন হাই বলেন, প্রায় দেড় হাজার বছর আগে, ‘বুক অব ওয়েইতে’ প্রথমবারের মতো উদ্ভাবন বা ‘ছুয়াং সিন’ শব্দটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মূল বাণী হলো আমাদের সব খারাপ জিনিস ত্যাগ করা উচিত এবং আমাদের দেশ শাসনের একটি নতুন ও উদ্ভাবনী উপায় ক্রমাগত খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা করা উচিত।
আমি আপনাকে একটি সমসাময়িক উদাহরণ দিতে পারি। আমি নিশ্চিত যে, আপনি নিশ্চয়ই চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসির প্রস্তাবিত এক দেশ দুই ব্যবস্থার কথা শুনেছেন। এটি একটি খুব উদ্ভাবনী প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, কারণ অতীতে এমন কিছু ছিল না।
এই ব্যবস্থায় হংকং ও ম্যাকাও মাতৃভূমির কোলে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। এবং আগের ব্যবস্থা পরিবর্তন না করে এটাকে গ্রহণ করা হয়। হংকং ও ম্যাকাওয়ের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুন্দর সমন্বয় হয়েছে। আর এটাই উদ্ভাবন।