চালু পথ না ধরে সঠিক পথে থাকুন; ঐতিহ্যকে সম্মান করুন, সেকেলে অভ্যাসকে নয়
‘উদ্ভাবন’ আজ চীনে একটি বহুলব্যবহৃত শব্দ। ক্রিস-ক্রসিং হাই-স্পিড রেল নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে জীবনরক্ষাকারী চিকিত্সা-প্রযুক্তি পর্যন্ত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চীন সবখানেই উপকৃত হয়। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন - এই উদ্ভাবনী শক্তির পিছনে রহস্য কী?
আচ্ছা, এবার একসঙ্গে চায়না ন্যাশনাল আর্কাইভস অব পাবলিকেশন্স অ্যান্ড কালচারের কুয়াংচৌ শাখা গ্রন্থাগারে চলে যাবো এবং আমার নতুন বন্ধু ‘হংকং-০১’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পিকিং ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব নিউ স্ট্রাকচারাল ইকোনমিক্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মি. ইউ পিন হাইয়ের সাথে চীনা সভ্যতার উদ্ভাবন ও ক্রমবিকাশের কারণগুলো অন্বেষণ করবো।
উদ্ভাবন চীনা জীবনকে বদলে দিয়েছে। উদ্ভাবন কি সবসময়ই চীনা ইতিহাসের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল?
জবাবে মি.ইউ পিন হাই বলেন, আমরা চীনারা সব সময় উদ্ভাবন ও পরিবর্তনের গুরুত্বকে মূল্যায়ন করি। তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে শাং রাজবংশের প্রথম সম্রাট থাং আসলে তার বাথটাবে একটি লাইন লিখে রেখেছিলেন যাতে সেটা তার মনে থাকে। লাইনটি হলো “গৌ রি সিন,রি রি সিন,ইউ রি সিন”। এর প্রকৃত অর্থ হলো আপনি যদি একদিনে খানিকটা উন্নতি করতে পারেন, তাহলে প্রতিদিন তা করবেন না কেন, যাতে আপনি অতীতে ইতিমধ্যে যা অর্জিত হয়েছে তার ভিত্তিতে উন্নতি করতে পারেন?
চীনের ইতিহাসে চীনা চরিত্রের উদ্ভাবন ও জনপ্রিয়তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রায় দু’হাজার বছর আগে হান রাজবংশের সময় আমরা কাগজ আবিস্কার করেছিলাম। পরবর্তীতে থাং রাজবংশের সময়ে আমরা কাঠের ব্লকের মাধ্যমে প্রিন্টিং প্রযুক্তিও উদ্ভাবন করি।
প্রায় এক হাজার বছর আগে সোং রাজবংশের সময়ে বি শেং চলনযোগ্য টাইপিং উদ্ভাবন করেন। এরপর, চীনা অক্ষরের ব্যাপক প্রচলন হয়।