সাইলেন্ট বেকারি দোকানের মালিক জার্মান নাগরিক মার্কুস হফমুলার
‘আগে আমি কখনওই ইশারা ভাষা সম্পর্কে জানতাম না। শুরুতে ইশারা দিয়ে প্রকাশের ক্ষেত্রে আমি অনেক ভুল করেছি।’
হ্য খাই মো ঠাট্টাচ্ছলে বলেন, নিজেই একজন শিক্ষানবিশ স্টোর ম্যানেজার। তিনি শ্রবণ-প্রতিবন্ধী কর্মীদের বেকিং প্রযুক্তি শিক্ষাদানের সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা তাকে ইশারা ভাষাও শিখিয়েছেন।
‘তারা আমাকে ধৈর্য সহকারে শেখাতে পেরেছে, কীভাবে একটি শব্দকে উপস্থাপন করতে হয়। আমি যদি কোনো কিছু বুঝতে না পারি, তাহলে তারা এটি একটি হোয়াইটবোর্ডে লিখেন বা মোবাইল ফোনে টাইপ করে।’
বর্তমানে হ্য মো খাই এবং সহকর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় বেকারির ব্যবসা দিন দিন ভালো চলছে। নিজের সহকর্মীদের প্রসঙ্গে হ্য মো খাই বলেন,
‘আমি মনে করি, তারা অনেক পেশাদার। হয়তো তারা শুনতে পারেন না,তবে তারা খুব মনোযোগ দিয়ে একটি কাজে মনোনিবেশ করতে পারে। তাদের সঙ্গে কাজ করতে এবং সহযোগিতা করতে আমি পছন্দ করি।’
বেকারি দোকানে কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি হ্য মো খাই তার অবসর সময়কে সাধারণ জীবনে ধীরগতির অভিজ্ঞতার জন্যও ব্যবহার করেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে সিয়াংচিয়াং নদীর ধারে বেড়াতে যান এবং মাঝে মাঝে শহরের সাংস্কৃতিক পরিবেশ অনুভব করতে ছাংশা শহরের রাস্তায় এবং গলিতে ঘুরে বেড়ান।
তিনি বলেন, তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি জীবন পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি চীনের অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং চীনের দ্রুত উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছেন।
চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের মান দিন দিন বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিদেশের সঙ্গে চীনের বিনিময়ও দিন দিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। চীনের সুবিধাজনক পরিবহন এবং আধুনিক রসদ বেকারি পরিচালনার জন্য তাকে আরও সুবিধাজনক শর্ত সরবরাহ করেছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন,
‘চীনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নগরায়ন, আধুনিকায়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। মানুষও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।’