সাইলেন্ট বেকারি দোকানের মালিক জার্মান নাগরিক মার্কুস হফমুলার
মার্কুস হফমুলার একজন জার্মান নাগরিক। তিনি জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইনোলজিতে পিএইচডি করেছেন। বিশ বছর আগে যখন তিনি প্রথমবার চীনে আসেন, তখন তিনি এখানকার সবকিছুর প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন। বিশ বছর পর তিনি হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরের একটি বেকারির মালিক হন এবং শ্রবণ-প্রতিবন্ধীদের জন্য আশার আলো জ্বালান।
আজকের অনুষ্ঠানে আমরা তাঁর এই ‘নীরব বেকারিতে’ প্রবেশ করবো।
চীনের হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরের খাইফু জেলার সিয়াংছুন গলিতে প্রবেশ করলে রুটির সুগন্ধ নাকে ভেসে আসে। এই পুরনো গলিতে লুকিয়ে আছে ‘সাইলেন্ট বেকারি বা নিস্তব্ধ বেকারি’ বলে পরিচিত এই দোকানটি। দোকানের নাম হলো ‘বা হ্য পশ্চিমা স্টাইলের স্ন্যাকস’। এর মালিক মার্কুসের চীনা নাম হলো হ্য মো খাই। তিনি এই দোকানের নামের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করেন।
‘এই দোকানটি প্রধানত বধির লোকদের নিয়োগ করে এবং তাদের কর্মসংস্থানের ও প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান করে। দোকানটিতে এখন মোট ১২ জন কর্মচারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী, যাদের পাঁচজন বেইকার, একজন ফ্রন্ট ডেস্ক কর্মী এবং একজন শিক্ষানবিশ।’
২০২২ সালে হ্য মো খাই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বা হ্য পশ্চিমা স্টাইলের স্ন্যাকস’ দোকানের মালিক হন। সেই সময় নিংসিয়া হুই জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইন ছুয়ান শহরে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার ইতি টানেন।
জার্মানি থেকে চীন পর্যন্ত, নিংসিয়া হুই জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইনছুয়ান থেকে হুনান প্রদেশের ছাংশা শহর পর্যন্ত, শিক্ষক থেকে বেকারি ম্যানেজার পর্যন্ত, প্রতিটি পরিবর্তন ছিল চ্যালেঞ্জপূর্ণ। তবে, হ্য মোখাই বলেন, তিনি চ্যালেঞ্জ পছন্দ করেন। তার দৃষ্টিতে, চীনের সাথে অবিচ্ছিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণ হলো ভিন্ন জীবন অনুসরণ করার সাহস।