সাইলেন্ট বেকারি দোকানের মালিক জার্মান নাগরিক মার্কুস হফমুলার
হ্য মো খাই বলেন,
‘এ খবর শুনে খুব উত্তেজিত হয়েছিলাম এবং আমার মনের ভিতরে একটি কণ্ঠ বলেছিল, ‘তুমি এটিই করতে যাচ্ছো’।
ইনছুয়ান শহরে দু’বছরব্যাপী শিক্ষাদানের জীবন শেষ করার পর তিনি ‘বা হ্য পশ্চিমা স্টাইলের স্ন্যাকস’ হস্তান্তরের খবর জানেন।
‘আমি ইন্টারনেটে এই বেকারি সম্পর্কে জেনেছি এবং অবিলম্বে এর সাবেক পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেছি।’
এই বেকারি’র সাবেক পরিচালক একজন জার্মান। তার চীনা নাম হলো উ চেং রোং। ২০০২ সালে তিনি এবং তার স্ত্রী শ্রবণ-প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি ছাত্র সহায়তা কর্মসূচির কারণে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আরও শ্রবণ-প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য এই দম্পতি ২০১১ সালে এই বেকারিটি কিনেছিলেন এবং শ্রবণ-প্রতিবন্ধী শিক্ষানবিশদের কাছে জার্মান রুটি-বেকিং দক্ষতা হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারা আশা করেন, শ্রবণ-প্রতিবন্ধীরা রুটি-বেকিংয়ের দক্ষতার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল চাকরি ও জীবন পাবে। এভাবেই জন্ম নেই ‘সাইলেন্ট বেকারি’।
২০২২ সালে উ চেং রোং এবং তার স্ত্রী তাদের হোমসিকনেসের কারণে জার্মানিতে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাই তারা বেকারিটি স্থানান্তরের খবর ঘোষণা করেছিলেন।
পরিবারের প্রভাবে হ্য মো খাই শৈশব থেকেই বেকিং এর প্রতি প্রবল আগ্রহ পোষণ করেন। তিনি বলেছিলেন যে যখন থিয়েনচিনে অধ্যয়নরত ছিলেন, তখন তিনি কয়েকজন শ্রবণ-প্রতিবন্ধী বন্ধুর সাথে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি শ্রবণ-প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা করতে চান। ২০২২ সালের মার্চ মাসে হ্য মো খাই পরিবার নিয়ে ছাংশা শহরে চলে যান।
কিন্তু একটি বেকারি ভালোভাবে চালানোর জন্য আগ্রহ এবং উদ্দীপনাই যথেষ্ট নয়। যখন তিনি প্রথম বেকারি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তিনি আর্থিক কাজ, গ্রাহক পরিষেবা, কাঁচামাল সংগ্রহ এবং কর্মচারী ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলেন। তার জন্য সবচেয়ে ঝামেলার বিষয় হল শ্রবণ-প্রতিবন্ধী কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগের সমস্যা। তিনি শূন্য থেকে ইশারা ভাষা শিখতে শুরু করেন।