‘উইথ ইউ’
একবার ঔষুধ সরবরাহ করার জন্য একটি অর্ডার গ্রহণ করেছিলেন, অবশেষে তিনি মহামারীর প্রেক্ষাপটে হাসপাতালে জীবন এবং মৃত্যুর সাক্ষী হন এবং তার হৃদয়ে তা গভীরভাবে স্পর্শ করে।
উহান শহর লকডাউন হয়ে যাচ্ছে দেখে তিনি প্রথমবার দ্বিধায় পড়ে যান যে, চলে যাবেন নাকি এখানে থাকবেন। কিন্তু যখন তিনি সত্যিই উহান থেকে চলে যাওয়ার এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তখন হঠাত্ করেই তিনি শহরে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দিনের বেলায় তিনি রাস্তা ও গলিতে দিয়ে ডেলিভারি রাইডার হিসাবে কাজ করতেন এবং বাকি সময় তিনি চিকিৎসা কর্মীদের হাসপাতাল ও বাসায় যাতায়াতের কাজে স্বেচ্ছাসেবা দিতেন।
‘উইথ ইউ’ নামের টিভি নাটকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মহামারীর সময় উহান শহরের নানা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। মা ইউন, তিনিই চিয়াংহান হাসপাতালের পরিচালক চাং হান ছিংয়ের স্ত্রী। তিনিও একজন চিকিৎসা কর্মী। তার স্বামীর শরীরের অবস্থা জানার পাশাপাশি চিকিৎসা কর্মীদের কষ্ট ও অসুবিধা সবচেয়ে ভালো বুঝতেন তিনি।
তিনি তার স্বামীকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু তিনি তার কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে চান না, তাই তিনি প্রতিদিন সেলফোনে শুভেচ্ছা পাঠাতে ভুলতেন না। তিনি সবসময় তার স্বামীকে ওষুধ খাওয়া এবং দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি স্পষ্ট জানেন যে, স্বামী কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজের শরীরের প্রতি অবহেলা করতে পারেন। যা মহামারী সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। ব্যস্ততার কারণে চাং হান ছিংয়ের সবসময় স্ত্রীর অনেক ম্যাসেজের জবাব দিতে দেরি হতো। তিনি সত্যিই ব্যস্ত থাকতেন, কিন্তু তিনি তার স্ত্রীর উদ্বেগ মিস করেন।
স্ত্রী’র সংক্রমিত হওয়ার খবর জানার পর তিনি তাকে দেখতে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু স্ত্রী রাজি হন নি। শুধুমাত্র ঠাণ্ডা মাথায় কাজ চালিয়ে যাওয়া কথা বলে দিয়েছিলেন স্ত্রী। কারণ তিনি জানেন, তার চেয়ে চিয়াংহান হাসপাতালের রোগীদের তার স্বামীকে আরো বেশি প্রয়োজন।