‘উইথ ইউ’
নাটকটি মহামারী প্রতিরোধের সময়, আশেপাশের সব স্তরের বাস্তব চরিত্র ও ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এতে মোট দশটি স্বতন্ত্র গল্প আছে। এ দশটি গল্পের নাম যথাক্রমে: ‘জীবনের টার্নিং পয়েন্ট’, ‘ফেরিওয়ালা’, ‘সহকর্মী’, ‘উদ্ধারকারী’, ‘২৪ ঘণ্টার অনুসন্ধান’, ‘হুও শেনশান হাসপাতাল’, ‘মোবাইল কেবিন হাসপাতাল’, ‘আমার নাম তাই লিয়েন’, ‘মাস্ক’ ও ‘উহানবাসী’। এতে কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা সেনা এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের মনোমুগ্ধকর কাহিনী তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে রয়েছেন, চিকিৎসাকর্মী, যারা মানুষের জন্য সাদা প্রাচীর নির্মাণে কোন দ্বিধা করেন না; বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উহান শহরকে সাহায্য করতে ছুটে আসা চিকিৎসা দলের সদস্য। আরো আছেন সাধারণ ডেলিভারিম্যান এবং সেচ্ছাসেবক, হুও শেন শান হাসপাতালের নির্মাণকাজে ঝাঁপিয়ে পড়া সাধারণ শ্রমিক ও নির্মাতা। বিভিন্ন মহলের চীনারা বিভিন্ন অসুবিধা কাটিয়ে উঠে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল শক্তি গঠন করেছে এবং মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক অবদান রেখেছে।
বর্তমানে মহামারীর চাপ ধীরে ধীরে কমছে, তবে মহামারীর সেই স্মৃতিগুলো আমাদের সবসময় মনে থাকবে।
চীনের অনেক বিখ্যাত পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার এ টিভি নাটক নির্মাণে যোগ দিয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন বিখ্যাত অভিনেতা অভিনেত্রীও এতে অভিনয় করেছেন।
টিভি নাটকের শুরুতে দর্শকদের মহামারি প্রথম দিকে নিয়ে আসা হয়।
নতুন বছরের শুরুতে সবাই নববর্ষকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে চিয়াংহান হাসপাতাল যেন শত্রুর মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে জরুরিভাবে বেশ কয়েকজন বিশেষ রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয়, হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তাদের শুধু জ্বর, ক্লান্তি ও শুকনো কাশির মতো হালকা লক্ষণ ছিল। তবে, চোখের পলকে তাদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে।