গ্রামীণ পুনরুত্থান ক্যামেরায় ধারণ করেন লু হাই তোং
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ‘পাথরের রাজ্যে ধীর জীবন—তাই ওয়া গ্রাম’ নামে লু হাই তোংয়ের সৃষ্ট ভিডিও ইন্টারনেট প্লাটফর্মে নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারপর তা ওয়া গ্রামে ঘুরে বেড়ানো পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। আগে এমন একটি ছোট গ্রামের কথা কেউ জানতো না, এখন এটি দর্শনীয় এক স্থানে পরিণত হয়েছে।
২০১৯ সালের পহেলা মে ছুটি এবং জাতীয় দিবসের ছুটির সময় বিভিন্ন স্থান থেকে তা ওয়া গ্রামে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায় এবং গ্রামের ফার্মহাউস ইনে ভিড় লেগে ছিলো। ২০১৯ সালে তা ওয়া গ্রামে পর্যটনের মোট আয় ২০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। পর্যটন শিল্পের ওপর ভিত্তি করে ১২৫ জন কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন এবং গ্রামবাসীদের মাথাপিছু আয় ৬ হাজার ইউয়ান বেড়েছে।
তা ওয়া গ্রামকে ক্যামেরায় ধারণ করতে লু হাই তোং ৩ বছর সময় ব্যবহার করেছেন। তিনি যথাক্রমে ১৫০ বার গ্রামে গিয়েছেন, বসন্তকাল, গরমকাল, শরত্কাল এবং শীতকাল, যাই হোক, লোকেরা তার ছায়া দেখতে পারেন। তা ওয়া গ্রামের মতো আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম গ্রামীণ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পর্যটন বিকাশ শুরু করে এবং জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
ছিংচাং নদীর পাশে অবস্থিত চুয়াং শাং গ্রামের ছবিগুলো হলো লু হাই তোংয়ের প্রতিনিধিত্বকারী শিল্পকর্ম। রেপসিড ফুলের সোনালী সাগর, সুন্দর ধানের ক্ষেতের চিত্রকর্ম, বিস্তীর্ণ ছিংচাং নদী ন্যাশনাল ওয়েটল্যান্ড পার্ক...এখানে লু হাই তোং তার নিজস্ব ফটোগ্রাফিক কৌশল ব্যবহার করে সারা বছর ধরে রাজকীয় দৃশ্য ধারণ করেছেন। বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়ে ধান ক্ষেতের চিত্র দেখতে এবং বিশেষ সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে এখানে এসেছেন।
আস্তে আস্তে লু হাই তোং গ্রামবাসীদের ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। দশাধিক কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে গ্রামে ছবি তোলার জন্য মাঝেমাঝে তাকে খাওয়ানোর আমন্ত্রণ জানান গ্রামবাসীরা। শে জেলার চুয়াং শাং গ্রামের সিপিসি’র শাখা সম্পাদক লিউ ফাং মিং বলেন, ‘হাই তোং আমাদের গ্রামের প্রচারকারী। তার জন্য গ্রামের পর্যটন আরো ভালো হয়ে যাচ্ছে।’