গ্রামীণ পুনরুত্থান ক্যামেরায় ধারণ করেন লু হাই তোং
শীতকালে প্রচণ্ড বাতাস বইছে। চীনের হ্যবেই প্রদেশের হানতান শহরের শে জেলায় ৪৬ বছর বয়সী ফটোগ্রাফার লু হাই তোং ঠাণ্ডা আহবাওয়া উপেক্ষা করে ক্যামেরা নিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।
তিনি বলেন, চমত্কার আহবাওয়া তোমাকে অপেক্ষা করতে পারে না। তাই এক মিনিট এমকি এক সেকেন্ডও মিস করতে চাই না। দেখুন, সকালের আলোতে গ্রাম, সোপানযুক্ত ক্ষেত্র এবং রাস্তা, কত সুন্দর লাগে। শে জেলার ওয়াং চিন চুয়াং সোপানযুক্ত ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে লু হাই তোং শীতকালীন পাহাড়ি গ্রামের সুন্দর দৃশ্য রেকর্ড করতে ড্রোনের ক্যামেরা বোতামটি আলতো করে টিপেন।
লু হাই তোং মনে করেন, কেবল রাস্তায় আপনি সুন্দর দৃশ্যের সম্মুখীন হতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০২ সালে পাহাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এসব গ্রামের ছবি তোলা শুরু করি। বিশ বছরের মধ্যে আমি থাইহাং পর্বতমালার গভীরে অবস্থিত শতাধিক গ্রামে ভ্রমণ করেছি এবং গ্রামীণ বৈশিষ্ট্যগুলোকে প্রতিফলিত করে এক লাখেরও বেশি ছবি তুলেছি।’
লু হাইতোং বলেন, তিনি নস্টালজিয়াকে নিজের উপায়ে মনে রাখতে চেয়েছিলেন এবং গ্রামীণ ফটোগ্রাফারের দৃষ্টিকোণ থেকে থাইহাং মাউন্টেন ভিলেজে পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়াকে রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংক্ষিপ্ত ভিডিওগুলোর জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে গ্রামাঞ্চলকে রেকর্ড করার পদ্ধতি পরিবর্তন হতে শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি তার প্রথম ড্রোন পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এভাবে এক একটি ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম তার কাজের সাথে সাথে ইন্টারনেটে বিখ্যাত হয়ে উঠে।
শে জেলার কেং ল্য থানার তাই ওয়া গ্রাম হলো একটি ঐতিহ্যবাহী ‘পাথরের গ্রাম’। গ্রামের বাড়িঘর প্রায় সবই পাথরের তৈরি, সহজ ও প্রাকৃতিক।