সি’আনের অধিবাসী এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর গল্প
রাতুরির শিল্প সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের উন্মুক্ততা ও উন্নয়ন থেকে উপকৃত হয়েছে। ভারতীয় খাবার রান্না করার সময় মশলা ব্যবহার করতে হয়। আগে তার রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত মশলার অধিকাংশই ভারত থেকে আমদানি করতে হত এবং পরিবহন ফি অনেক বেশি ছিল। তবে, এখন চীনে আমদানি সম্প্রসারণের সাথে সাথে অধিক থেকে অধিকতর বিদেশি খাবারের উপকরণও চীনাদের টেবিলে দেখা যায়। ফলে রাতুরি সি’আন শহরের বাজারে খাঁটি ভারতীয় মশলা খুঁজে পান, যা তার রেস্তোরাঁ পরিচালনার খরচ ব্যাপকভাবে কমিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাতুরি বলেন,
‘আমাদের ভারতীয় মশলার অনেক উপাদানই এখানে কেনা যেত না। তবে, এখন কারি মশলার ১৫টি উপাদানের মধ্যে কমপক্ষে ৮টি এখানে পাওয়া যায়। ফলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সমস্যার সমাধান হয়েছে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে ইন্টারনেটের দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। যা রাতুরির জীবনে সুবিধা বয়ে আনা ছাড়াও তার শিল্পের উন্নয়নে কল্যাণ বয়ে এনেছে। বাসায় বসে তিনি অন্য জায়গায় নতুন রেস্তোরাঁ খোলার খোঁজ-খবর নিতে পারেন। অনলাইনে পার্সেল অর্ডার করা যায়। মহামারীর সময়েও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
‘চীনের ইন্টারনেটের উন্নয়ন খুব দ্রুত হয়েছে। এখন আমি সবকিছুই সেলফোনে কিনতে পারি। তা পরের দিন বাসায় চলে আসে। সেলফোনে সব আছে--আপনি কোথায় যেতে চান, কি খেতে চান-তার সবই। এটি খুব সুবিধাজনক।’
রাতুরি এবং তার পরিবার সি’আন শহরে প্রায় ১০ বছর ধরে বাস করছেন। তিনি সব সময় নিজেকে পুরোনো ‘সি’আনবাসী’ মনে করেন। দশ বছর আগে চীনে এবং সি’আনে থাকা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
‘আমি মনে করি, একজন বিদেশিকে চীন সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই সি’আন শহর থেকে শুরু করতে হবে। কারণ এটি হল রেশম পথের সূচনা-বিন্দু। এটি সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এবং ঐতিহাসিক শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। আমি মনে করি, সি’আনবাসী খুব ভালো। তাই আমি এখান থেকে সরে যেতে চাই না।’