সি’আনের অধিবাসী এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর গল্প
রাতুরির সন্তানরা সি’আন শহরে জন্মগ্রহণ করেছে এবং বড় হয়েছে। বর্তমানে তারা সি’আন শহরের প্রাথমিক স্কুলে পড়ছে। রাতুরি বলেন, তার সন্তানরাও তার মতো চীনকে ‘নিজের বাসা’ মনে করে।
তিনি বলেন,
‘গতবার আমি তাদেরকে নিয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। তারপর তারা আমাকে বলল, বাবা, আমরা বাসায় ফিরতে চাই। আমি তাদেরকে বললাম, ভারত তোমাদের বাসা। তারা বললো, না, সি’আন আমাদের বাসা। এখন আমার দুই সন্তান চীনা শিশুদের সঙ্গে সি’আন শহরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তারা পুরোপুরি পুরোনো সি’আনবাসী হয়ে উঠেছে।’
রাতুরির কাছে আরও গৌরবের ব্যাপার হলো: চীনে নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে তার ‘কুংফু চলচ্চিত্রের স্বপ্নও’ বাস্তবায়িত হয়েছে। তার অভিনীত ২০টিরও বেশি চীনা চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের অনেকগুলোই কুংফু ফিল্ম।
রাতুরি বলেন, তিনি ভারত ও চীনের যোগাযোগ ও বিনিময়ের সেতু হতে চান। ফলে দু’দেশের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রী গভীরতর হবে। চীনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তিনি আশাবাদী।
রাতুরি বলেন,
‘আপনি দেখুন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের খুব ভালো উন্নয়ন হচ্ছে। আমি তার ভবিষ্যৎ দেখতে পারি। আগে আমি অনেক দেশে ঘুরেছি। তবে, আমি চীনে থাকতে চাই।’