চীনা চলচ্চিত্র পরিচালক ডেরেক তুং শিং ই
‘ইন সার্চ অব লস্ট টাইম’ নামের মুভিতে ডেরেক অনেক নতুন অভিনেতা অভিনেত্রীকে কাজে লাগান। কারণ তিনি তাদের সুযোগ দিতে চান।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম করার পরে, ডেরেক রচনার চিন্তাধারাও সার-সংকলন করেছেন। তিনি বলেন, সর্বদা নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার শুটিং করবেন না, আপনার আশেপাশের বিশ্বের চরিত্র এবং গল্প থেকে কিছু উপাদান নেওয়া উচিত। তিনি প্রায়শই বিভিন্ন শহরের মধ্যে যাতায়াত করেন। যতবারই তিনি হাই-স্পিড ট্রেনে ওঠেন, তখন তিনি কখনই ঘুমান না, ট্রেনের বাইরের দৃশ্য দেখেন। যেমন হাই-স্পিড ট্রেন স্টেশনের পাশের নতুন ভবন ইত্যাদি। তিনি বলেন, কারণ আমি এগুলোর ছবি তুলতে পারবো ভবিষ্যতে। ডেরেক যাত্রায় ভিড়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন, কারণ হয়তো ভবিষ্যতেও তাদের চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন।
২০০৩ সালে হংকং এবং মূল ভূখণ্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে ‘হংকং চলচ্চিত্র নির্মাতারা এবং মূল-ভূখণ্ডের সহ-প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলো দেশীয় চলচ্চিত্রের সুবিধা পেতে পারে’। ফলে আরও বেশি সংখ্যক হংকং পরিচালকরা চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য মূল-ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে শুরু করেন। ডেরেক ২০০৫ সালে প্রথমবার শ্যানসি ফিল্ম স্টুডিওর সঙ্গে সহযোগিতা করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ২০১০ সালে তার পরিচালিত ‘ট্রিপল টেপ’ ছবিটি ছিল ডেরেকের প্রথম চলচ্চিত্র যা মেইন-ল্যান্ডে মুক্তি পায়। এ মুভি’র বক্স-অফিসে আয় ছিল ১২.৭ কোটি ইউয়ান।
সফলভাবে মূল ভূখণ্ডের চলচ্চিত্রের বাজার খুলে দেওয়ার পর ডেরেক পুলিশ, অ্যাকশন এবং প্রেমের মতো তাঁর সুপরিচিত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের শুটিং চালিয়ে যাননি। এসবের পরিবর্তে ছয় বছর পর তিনি নিজের খরচে একটি বাস্তবসম্মত চলচ্চিত্র ‘আমি একটা কিছু’ নির্মাণ করেন। ফিল্মটিতে চীনের হেংডিয়ান ফিল্ম ও টিভি নাটকের শুটিং বেসে কর্মরত একদল ‘স্বপ্নের পিছনে ছুটে চলা’ খুব সাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীর গল্প বলা হয়।