চীনা চলচ্চিত্র পরিচালক ডেরেক তুং শিং ই
‘যদি আমি এমন বিষয় শুটিং করতে থাকি, যা আমি ভালোভাবে করতে পারি এবং পুনরাবৃত্তি করি, আমি ক্লান্ত বোধ করবো, তাই আমি নতুন কিছু খুঁজতে থাকি এবং আমার সৃজনশীল দিকনির্দেশনাকে সূক্ষ্ম-টিউন করতে থাকি। ডেরেকের প্রিয় পরিচালক হলেন ব্রিটিশ পরিচালক অ্যালান পার্কার। ‘কারণ তার প্রতিটি নাটক ভিন্ন, এবং এটিও ডেরেকের নিজস্ব সৃষ্টির সাধনা।
বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেরেকের সৃজনশীল শৈলী আগের তুলনায় আরও মৃদু হয়ে উঠেছে। তিনি প্রকাশ্যে বহুবার বলেছেন, ‘আমি আর এমন মুভি নির্মাণ করব না যা মানব প্রকৃতিতে ঘৃণ্য এবং অন্ধকার। তার মতে, দর্শকরা এখনও প্রেক্ষাগৃহে গেলে ডিকমপ্রেস করতে এবং বিনোদন পেতে চায়, তাই তিনি আর এমন একটি চলচ্চিত্র বানাবেন না যা দেখে দর্শকরা থিয়েটার ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তিনি আর সামাজিক বিষয়বস্তু নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন না। আসলে, তার অতীতের মুভিগুলো সব সময়ই সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের লক্ষ্য করে।
তিনি বলেন, ‘সামাজিক-থিমযুক্ত বিষয়গুলো চিত্রায়িত করার উদ্দেশ্য হল জনসাধারণকে এই বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তারপরে সেই বিষয়কে আরও ভালোভাবে সমাধান করার জন্য প্রচার এবং গাইড করা, তাই এটি অর্থবহ, তবে চলচ্চিত্রের শেষটি হতাশা হতে পারে না।’
একজন ‘ফিল্ম সিনিয়র ব্যক্তি’ হিসেবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ডেরেকের ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং হংকং ও মূল-ভূখণ্ডের ফিল্ম মার্কেটের উত্থান-পতন প্রত্যক্ষ করেছেন। চলচ্চিত্রের বাজারে বর্তমান মন্দা প্রসঙ্গে ডেরেক তাঁর ব্যক্তিগত অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, আধুনিক সমাজে, আমরা সর্বদা সব ধরণের চাপের মুখোমুখি হয়। তবে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের তুলনায় আমরা ‘সবচেয়ে দুর্ভাগা’ নই। কখনও কখনও আমাদের বেশিরভাগ উদ্বেগ ও ভয় কাল্পনিক, এবং সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটবে না। তাই মহামারী বা অন্যান্য ভয়াবহ জিনিসের মুখোমুখি হই না কেন, আমাদের সাহস নিয়ে এসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। জীবন মানেই চ্যালেঞ্জের অভিজ্ঞতা এবং গ্রহণ করা, এবং যখন আপনি সমস্যার সম্মুখীন হন, তখন আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে যে-কোনো জায়গায় একটি উপায় রয়েছে; তাই চিন্তা করবেন না।
লিলি/এনাম