পরিচালক লি লু
লি লু বলেন, পরিচালক হিসেবে যুগের কথা চিন্তা করতে হবে। সমাজ, যুগ ও দর্শকদের চিন্তাধারার ওপর দৃষ্টি না রাখলে দর্শকদের সঙ্গে একই আবেদন সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। একজন পরিচালক হিসেবে আমাদের প্রথমে একজন পর্যবেক্ষক হতে হবে, তারপর একজন চিন্তাবিদও হতে হবে।
‘অ্যা লাইফলং জার্নি’ টিভি সিরিজে ক্রুরা শিল্পকলা, ফটোগ্রাফি থেকে শুরু করে কস্টিউম ও প্রপস ইত্যাদির বিষয়ে দারুণ চেষ্টা করেছেন। এই খুঁটিনাটি আন্তরিক বিষয়ে লি লু বলেন, আমি বরাবরই প্রত্যেক ক্রুকে বলেছি, নাটকের প্রত্যেক সাজসরঞ্জাম ও কস্টিউমের গল্প বলা যায় এবং অভিনয়ে অংশ নিতে হবে। আমাদের ক্রু সদস্যরা এক একজন সতর্ক বৃদ্ধ কারিগর। একটু একটু করে, অর্ধ শতাব্দী ধরে চীনাদের খাদ্য এবং পোশাকসহ জীবনের নানা সুনির্দিষ্ট বিষয় পুনরুদ্ধার করেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ডিজনি ‘অ্যা লাইফলং জার্নি’ নামে এ টিভি সিরিজ নাটকের চীনের বাইরের অঞ্চলে প্রচারের কপিরাইট কিনেছে। অ্যানিমেশনের জন্য বিখ্যাত একটি বিদেশি কোম্পানি চীনা বাস্তববাদের থিমযুক্ত টেলিভিশন নাটক কিনেছে।
এ ব্যাপারে লি লু বলেন, আগে এ খবর জেনে আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। তারপর আমি মনে করেছি, এটাই স্বাভাবিক।
আমি আগে বিবিসি’র সঙ্গে এসব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তারা বলেছে যে, ‘উ চে থিয়েন’ চীনের ইতিহাসে একমাত্র সম্রাজ্ঞী। তাঁকে নিয়ে কাজ করতে চায় বিবিসি। কারণ তাদের ইতিহাসেও এমন একজন সম্রাজ্ঞী ছিলেন। তারা ১৯৪৯ সালের পর চীনের শুটিং করা উ চে থিয়েন সংক্রান্ত সব মুভি ও টিভি নাটকের কথা বলেছে। বিভিন্ন শিল্পকর্মের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছে। আমি শুনেছি, ডিজনি শিল্পকর্ম নির্বাচন করার সময় খুব কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। তারা আমাদের এই শিল্পকর্ম বাছাই করেছে, তা থেকে প্রমাণিত হয় যে, সারা বিশ্বে এই টিভি নাটকের বিস্তার নিয়ে আশাবাদী ডিজনি।