পরিচালক লি লু
এত মনোমুগ্ধকর পরিচালনা প্রক্রিয়ায় পরিচালক হিসেবে লি লু’র অনুভূতি কেমন ছিল?
এই প্রশ্নের জবাবে লি লু বলেন, আসলে আমি কান্নাকাটি পছন্দ করি না। দৈনন্দিন জীবনেও আমি খুব কম কাঁদি। তবে এ টিভি নাটক শুটিং করার সময় মাঝে মাঝে আমার চোখ ভিজে উঠেছে। অনেক দৃশ্য-বিন্যাস দেখে আমি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নি। আমি মনে করি, আসলে টিভি নাটকের ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য-বিন্যাস প্রত্যেকের জীবন বা অভিজ্ঞতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। যেমন, কিছু লোকের আশেপাশের আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুরা কর্মচ্যুত হন, কিছু লোকের পরিবারের সদস্য রোগাক্রান্ত হয়ে বা বিভিন্ন কারণে মারা যান, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি তথা ঘৃণা সৃষ্টি হয়। টিভি নাটকের সংশ্লিষ্ট দৃশ্যের মধ্যে মানুষ নিজেদের ছায়া দেখতে পায়।
পরিচালক লি লু বলেন, আমি ‘অ্যা লাইফলং জার্নি’ টিভি সিরিজ কাজে লাগিয়ে পিতামাতার পক্ষে কথা বলতে চাই এবং বর্তমান সমাজকে জাগিয়ে তুলতে চাই। এখানে পিতামাতার পক্ষ থেকে কি কি বলা হয়েছে?
জবাবে লি লু বলেন, যে বিষয়ে মানুষকে জাগ্রত করা হয় তা হলো- পরিবারের প্রতি আমাদের অনুভূতি এবং সমাজের দ্রুত বিকাশের কারণে মানুষের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া মমতার বন্ধন ও বন্ধুত্ব।
আগে প্রতিবেশীরা যখন একে অপরের বাসায় খেতে যেতো, তখন তাদের আগেভাগে জানানোর দরকার ছিল না। এখন সবাই একে অপরকে না জেনেই একই ভবনে থাকে। বহু বছর কেটে গেছে; আমাদের বন্ধুরা প্রায়ই একে অপরের সাথে দেখা করত, কিন্তু এখন আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বেশি যোগাযোগ করি। তারপর থেকে কত বছর কেটে গেছে?
বলা যায়, ‘অ্যা লাইফলং জার্নি’ নামে এ টিভি সিরিজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও সৌন্দর্য বড় করে দেখানো হয়। পরিচালক হিসেবে লি লু কি নিজের ইচ্ছায় এভাবে সাজিয়েছেন?