পরিচালক লি লু
জবাবে লি লু বলেন, এটাই আমার সর্বদা অটুক থাকার বিষয়। আমি উষ্ণ নাটক পছন্দ করি। ‘অ্যা লাইফলং জার্নি’তে কোনো দুষ্টু মানুষ নেই, কেবল আছে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করা তুলনামূলক স্বার্থপর মানুষ। অবশ্যই তারা স্বার্থ ও সুখের জন্য কষ্ট করে, প্রতিবন্ধকতা আছে, দুঃখও আছে। তবে নাটকের মুল সুরও উষ্ণ।
এটাও হতে পারে আমার সমাজ পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিভঙ্গি, অথবা সমাজের যে অবস্থা থাকা উচিত—উষ্ণতা ঠান্ডার চেয়ে বড়, মন্দের চেয়ে দয়া বড়, অন্ধকারের চেয়ে আলো বড় এবং এটি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকের মূলধারার অভিব্যক্তি হওয়া উচিত। উষ্ণতা, ইতিবাচক ও ভাল কাজের মূল সুর হলো চীনের বাস্তবতা এবং আমাদের প্রজন্মের চীনা জনগণের জীবনধারা।
আমরা এসব বিষয় সামনে রাখতে হবে। বিপরীত দিকে, কর্মক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র এবং জীবনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিষয় দর্শকদের জন্য উপস্থাপন করা হলে এসব বিষয় সমাজের প্রধান অভিব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে- যা একটি খুব অদ্ভুত ঘটনা হবে। আমরা ইতিমধ্যে একটি কঠিন জীবন কাটাচ্ছি। কাজের চাপ ও জীবনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের এমন কিছু বিষয়কে বড় করে দেখাতে হবে যা রৌদ্রোজ্জ্বল বা খারাপ এবং প্রত্যেকের দেখার ক্ষেত্রে মূল্যবোধের অভাব রয়েছে। আমি এটি পছন্দ করি না।
নিজেকে খুব উষ্ণ একজন মানুষ হিসেবে মনে করেন লি লু। তিনি বলেন, নিজের চরিত্রের কারণে আমি মানব প্রকৃতির উষ্ণতার প্রতি আরও মনোযোগ দিতে পারি। আমি সর্বদা অনুভব করি যে, আমি যে পৃথিবী দেখি তা বেশ ভাল, আমি আনন্দকে বড় করি না, আমি কেবল উষ্ণতা বৃদ্ধি করি।
এই টিভি নাটক দর্শকদের মধ্যে যা সমাদৃত হবে কিনা, সে বিষয়ে লি লু কি চিন্তিত ছিলেন?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজের পরিচালিত টিভি নাটক নিয়ে সন্তুষ্ট। ২০১০ সালে যখন ‘Boss happiness’ নামের টিভি নাটকটি প্রচারিত হয়, তখন জনগণ ধীরগতির জীবন কাটাচ্ছিল। জীবনের সুখানুভূতি বাড়ানোর জন্য। ২০১৭ সালে ‘In the name of people’ নাটক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, সেই বছর দুর্নীতিদমন করা ছিল আলোচিত বিষয়। এ বছরে ‘অ্যা লাইফলং জার্নি’ নামের এ টিভি সিরিজে বিগত ৪০ ও ৫০ বছরের উষ্ণতার অতীত পর্যালোচনা করা হয়েছে। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়া এবং বর্তমানে চীনের সাফল্য সবই এ নাটকে ফুটে উঠেছে।