কপিরাইট খাতে চীনের প্রথম মানবাধিকার চুক্তি কার্যকর হবে
‘মারাকেশ চুক্তি হলো আন্তর্জাতিক কপিরাইট চুক্তিতে প্রথম মানবাধিকার চুক্তি। এর ভূমিকা অনেক বেশি। যা শুধু কপিরাইট-ভিত্তিক সংরক্ষণের মান বাড়ানো নয়, বরং ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের শিক্ষা গ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক জীবনে অংশগ্রহণের চাহিদা মেটানোর জন্য কপিরাইট-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।’
মারাকেশ চুক্তি অনুযায়ী এতে স্বাক্ষরকারী পক্ষগুলো দেশীয় আইনে এসব নিয়ম নির্ধারণ করেছে যে, অনুমোদনকারী সংস্থাগুলো কপিরাইট ওনারের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন অ্যাক্সেসযোগ্য সংস্করণ তৈরি করে মুদ্রণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্য করতে পারবে।
চীন বরাবরই মুদ্রণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিল্পকর্ম ব্যবহার করার অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষায় অনেক গুরুত্ব দেয়। চীন মারাকেশ চুক্তির সিদ্ধান্ত এবং প্রয়োগে অনেক ফলপ্রসূ কাজ করেছে। ওয়াং ছিয়েন বলেন, ২০১৩ সালে চুক্তি স্বাক্ষরকারীদের সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিদল অন্যান্য প্রতিনিধিদলকে সমর্থন করেছে, সহনশীল ও সহযোগিতামূলক চেতনার আলোকে মারাকেশ চুক্তি সুষ্ঠুভাবে পাস হওয়ায় ভূমিকা রেখেছে এবং এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এরপর চীন সক্রিয়ভাবে ‘স্বত্বাধিকার আইন’ সংশোধন করেছে এবং চীনে মারাকেশ চুক্তি কার্যকরে আইনগত প্রস্তুতি নিয়েছে।
অধ্যাপক ওয়াং ছিয়েন বলেন,
‘সাধারণ মানুষের মতো মুদ্রণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা পাওয়া এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে অংশ নেওয়া ও শিল্পকর্ম উপভোগ করার অধিকার আছে। ২০২০ সালে সংশোধিত ‘স্বত্বাধিকার আইন’ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়ার পর জাতীয় গণকংগ্রেস মারাকেশ চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে ‘কপিরাইট আইন বাস্তবায়নের প্রবিধান’ সংশোধন করা হচ্ছে। এতে অ্যাক্সেসযোগ্য সংস্করণ তৈরি এবং বিস্তারিত নিয়ম প্রণয়ন করা যাবে।’
দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষদের মধ্যে রয়েছে অন্ধ, দুর্বল দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন মানুষ এবং রোগ ও শারীরিক সমস্যার কারণে দৃষ্টিশক্তিহীন লোক। চীনের ১ কোটি ৭০ লাখ দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষের মধ্যে অন্ধ মানুষের পাশাপাশি অনেক দুর্বল দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন মানুষ রয়েছে।