কপিরাইট খাতে চীনের প্রথম মানবাধিকার চুক্তি কার্যকর হবে
সম্প্রতি বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সংস্থার কাছে কপিরাইটের খাতে বিশ্বের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র মানবাধিকার চুক্তি, অর্থাত্ মারাকেশ চুক্তির অনুমোদন জমা দিয়েছে চীন। চুক্তিটি তিন মাস পর চীনে কার্যকর হবে।
মারাকেশ চুক্তির কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থ আছে কি? চুক্তিটি কার্যকর হলে কার জন্য কল্যাণকর হবে? বিস্তারিত শুনুন আজকের আলোছায়া অনুষ্ঠানে।
প্রিয় বন্ধুরা, এখন আপনারা যে শব্দ শুনছেন তা হলো বেইজিংয়ের অন্ধদের জন্য তৈরি করা সিনেমা কর্মীদের অন্ধ দর্শকদের জন্য চলচ্চিত্রের প্রধান বিষয় বর্ণনার শব্দ।
এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে অন্ধ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ৩০ কোটির বেশি। তাদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ চীনে বাস করেন। চীনা সমাজের এই সদস্যদের সুবিধাজনকভাবে তথ্য পাওয়া, শিল্পকর্ম উপভোগ করা এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণ করার অধিকার ও আশা আছে।
অন্ধ, দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ অথবা ‘মুদ্রণ অক্ষমতায়’ ভোগা লোকদের পড়ার সুবিধা দিতে ২০১৩ সালের ২৭ জুন মরক্কোর মারাকেশে বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক কূটনৈতিক সম্মেলনে ‘মারাকেশ চুক্তি’ পাস হয়। এরপর ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তা কার্যকর হয়। এ চুক্তি পাস হওয়ার পর পরই এতে সই করেছে চীন। বর্তমানে চীন বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সংস্থার কাছে ‘অন্ধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বা অন্যান্য মুদ্রণ অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য প্রকাশিত রচনায় অ্যাক্সেসের সুবিধা দিতে ‘মারাকেশ চুক্তির’ অনুমোদন দিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিটি তিন মাস পর চীনে কার্যকর হবে। ইস্ট চায়না ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ল-এর অধ্যাপক ওয়াং ছিয়েন মারাকেশ চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় ও গভীর গবেষণা করছেন। তিনি মারাকেশ চুক্তি স্বাক্ষরের কূটনৈতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্য। তিনি বলেন, চুক্তিটি চীনে কার্যকর হওয়া মানে চীনের ১ কোটি ৭০ লাখ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বই, অডিওবুক, অ্যাক্সেসযোগ্য ফিল্ম ও টেলিভিশনের শিল্পকর্মের অধিকার পাবে। দীর্ঘদিন ধরে কপিরাইটের কারণে বই, অডিও-ভিজ্যুয়াল এবং অন্যান্য প্রকাশনার অ্যাক্সেসযোগ্য ফরম্যাট সংস্করণ প্রকাশে সমস্যা হচ্ছিল। এই সমস্যা কেটে যাবে এবং এই বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে আরও রঙিন বিশ্ব হাজির হবে।