কপিরাইট খাতে চীনের প্রথম মানবাধিকার চুক্তি কার্যকর হবে
ওয়াং ছিয়েন বলেন, মারাকেশ চুক্তিতে অ্যাক্সেসযোগ্য সংস্করণ নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। ব্রেইল পদ্ধতির সংস্করণ ছাড়াও, বড় অক্ষরের সংস্করণও আছে। দুর্বল দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন লোক তা পড়তে পারে। তা ছাড়া, অডিওবুকও আছে। এসব বৈচিত্র্যময় অ্যাক্সেসযোগ্য সংস্করণের শিল্পকর্মের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তিহীন লোকেরা সমভাবে শিল্পকর্ম উপভোগ করে ও শিক্ষা দেয়। তা ছাড়া চীনের শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতি বিদেশে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কপিরাইট খাতে চীনের আন্তর্জাতিক কণ্ঠ ও প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
ওয়াং ছিয়েন বলেন,
‘চীন মারাকেশ চুক্তির অনুমোদন দেওয়ার পর চীনা ভাষা বলতে পারা লোকজন যারা অন্য দেশ- বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে বাস করেন, তারা খুব কম খরচে বা বিনাখরচে চীনা ভাষার অ্যাক্সেসযোগ্য সংস্করণের সুবিধা পাবেন।’
দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষের জন্য অন্ধকার বা অস্পষ্ট বিশ্ব হলো তাদের জীবনের নিয়মিত অবস্থা। তবে আমরা দেখতে পাই যে, অনেক দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ পরিশ্রম করতে পারেন ও জীবনকে ভালোবাসে। তারা একটি দক্ষতা দিয়ে সমাজের সেবা করেন এবং নিজেকে বাঁচিয়ে রাখেন। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ভালো চাকরিও পান। চীনে মারাকেশ চুক্তি কার্যকর হওয়ায় দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষের জন্য আরো বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণ করা সহজ হবে।
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা এখন যে শব্দ শুনছেন তা হলো বেশ কয়েকজন দুর্বল দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন মানুষের কথোপকথন।
‘আমি বিশ্বের জন্য একটি জানালা খুলতে চাই, যা জ্ঞান ও তথ্যের আলোর মতো আমার মনে উষ্ণতা দেবে।’
‘হাত দিয়ে স্পর্শ করি এবং কান দিয়ে শুনি। বই পড়ার মাধ্যমে স্বপ্ন অন্বেষণের পথে আরো সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাবো।’
‘আশা করি, আরও অনেক অন্ধ-বন্ধু মারাকেশ চুক্তির আওতায় নিজের পছন্দের পেশায় জড়িত হবেন।’