সরল তবে দুর্দান্ত—আসন্ন বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান: পরিচালক চাং ই চৌ
তিনি বলেন, টর্চ জ্বালানোর পদ্ধতি এবং টর্চের প্ল্যাটফর্ম হল আমাদের সবচে দুর্দান্ত আয়োজন, যা শত বছরের অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি।
তিনি বলেন, এই নকশা নিম্ন-কার্বন ও পরিবেশ-বান্ধব চেতনা প্রতিফলন করার জন্য তৈরি হয়েছে। আগে তিনিও উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে, সৌভাগ্যের বিষয় হলো এই চিন্তাধারা শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটি’র ব্যাপক সমর্থন ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি ধারণা করেন, টর্চ জ্বালানোর পদ্ধতি দেখে দর্শকদের ‘অপ্রত্যাশিত’ প্রতিক্রিয়া হবে। তবে, এই পদ্ধতি ‘এক নজরে বোঝা যাবে’। এটি একইসঙ্গে ‘অপ্রত্যাশিত ও যুক্তিসঙ্গত’। আসলে আমি এই কাজের পর থেকে, টর্চ জ্বালানোর সৃজনশীলতা নিয়ে ভাবতে শুরু করি।
আসলে চাং ই মৌ’র পরিচালিত ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি দারুণ প্রশংসনীয় হয়েছে। এবার কীভাবে একটি ভিন্ন রকমের শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা যাবে? এ প্রসঙ্গে চাং ই মৌ বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সব চাপ ছেড়ে দেওয়া। যুগের পরিবর্তন হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের চেয়ে শীতকালীন অলিম্পিক ভিন্ন রকম।
ছয় মাস আগে টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার সময় ইন্টারনেটে ২০০৮ সালে বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনের অতীত পর্যালোচনার ঢেউ সৃষ্টি হয়। চাং ই মৌ বলেন, এটাই হলো ইন্টারনেট যুগের বৈশিষ্ট্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ না হওয়ায় ইন্টারনেটে এ প্রসঙ্গে নানা মন্তব্যও প্রকাশিত হয়।
চাং ই মৌ বলেন, উদ্বোধনী বা সমাপনী অনুষ্ঠান বা ‘আরো দ্রুত, উচ্চ ও শক্তিশালী’ অলিম্পিকের চেতনা- যাই হোক, সবসময় মানুষ হলো গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে মানুষের মানসিক অবস্থা ও অনুভূতি।
তাই এবার তিনি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এবং প্রত্যেকের অংশগ্রহণের বিষয়ে আরও মনোযোগ দেন, কারণ এটি অলিম্পিক গেমস আয়োজনের একটি প্রধান লক্ষ্য।