হংকংয়ের চলচ্চিত্র পরিচালক ড্যান্টে ল্যাম-China Radio International
চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য প্রসঙ্গে ড্যান্টে ল্যাম বলেন, সেই দৃশ্যে আগের সেকেন্ডে যারা আড্ডা দিচ্ছিল- পরের মুহূর্তে তারা বোমা বিস্ফোরণে মারা যায়। মাত্র চার মিনিটের শট আমরা প্রায় ১০ মাস ধরে তৈরি করেছি।
ড্যান্টে ল্যাম বলেন, যুদ্ধের চলচ্চিত্রে গুলি ও বুলেটের ঘন ঘন ব্যবহার আছে। তবে এবার তিনি আরও কঠিন পদ্ধতি গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি স্ট্যাটিক ব্যবহার করে উত্তেজনা তৈরি করা এবং সিনেমার পরিবেশে দর্শকদের নিমজ্জিত করার চেষ্টা করেছেন।
‘আজ রাতে তাপমাত্রা কত ডিগ্রি নামবে?’
‘মাইনাস ৪০ ডিগ্রি!’
চলচ্চিত্রের এই কথোপকথন থেকে চলচ্চিত্রে তুলে ধরা সেই যুদ্ধের সময়ের ভয়ানক খারাপ আবহাওয়ার কথা বোঝা যায়।
আরও ভালোভাবে সেই ইতিহাস তুলে ধরতে এ চলচ্চিত্র শুটিংয়ের কাজ শীতকালীন ঝড়ো আবহাওয়ায় সম্পন্ন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা প্রায়শই রাতে মিছিল করত। তাই চলচ্চিত্রে বেশিরভাগ চিত্রায়নে রাতের দৃশ্য দেখা যায়।
ড্যান্টে ল্যাম স্বীকার করেন, জীবনে মাত্র একবার এত কঠিন চলচ্চিত্র শুটিংয়ের কাজ করেছি।
শুটিংয়ের সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, টানা ২ মাস রাত তিনি পাহাড়ে কাটিয়েছেন। শুটিংয়ের পরিবেশে গড় তাপমাত্রা ছিল মাইনাস দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং প্রায় প্রতি রাতেই প্রবল বাতাস বইতো, কখনও তা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতো।
নেটিভ হংকংয়ের বাসিন্দা হিসেবে ড্যান্টে ল্যাম বলেছেন যে, তিনি ঠান্ডাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান।
‘মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রা অনেক ঠান্ডা হয়, আমরা কেউ নড়াচড়া করতে চায় না। মাইনাস ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবেশে স্বেচ্ছাসেবক সেনারা পাতলা জামাকাপড় পরেছিল এবং তাদের লজিস্টিকের অভাব ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ করতেই হতো। ড্যান্টে ল্যাম বলেছেন, ‘যখন আমি এটি ভাবি তখন আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারি না যে। স্বেচ্ছাসেবী সেনারা এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও প্রাণপণ জয়ের চেষ্টা করেছেন এবং আমরা কখনই পরাজয় স্বীকার করতে পারি না।