যেগুলো চলচ্চিত্র অস্কারের শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্বাচনের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত-China Radio International
চীনের তাইওয়ান ‘ The Falls’ নামে চোং মোং হোংয়ের পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি বেছে নেওয়া হয়। এ মুভিটি চলতি বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবের দি হরাইজন ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত হয়। চোং মোং হোং এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো অস্কারের পুরস্কারের নির্বাচনে অংশ নেন।
এশিয়ায় জাপান ‘ড্রাইভ মাই কার’ বেছে নেওয়া হয় এবং এ মুভিটি কান চলচ্চিত্র উত্সবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়া ‘ Escape from Mogadishu’ চলচ্চিত্রের পরিচালক সেউং ওয়ান রিউ’র চলচ্চিত্র বেছে নেওয়া হয়।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ চলতি বছর নিজেদের সবচে প্রতিনিধিত্বকারী শিল্পকর্মটি বেছে নিয়েছে। তাদের চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই চলতি বছর তিনটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী থেকে এসেছে।
এখন পর্যন্ত অস্কারের পুরস্কার জিতে নিতে ৮০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল নিজ নিজ শিল্পকর্ম বেছে নিয়েছে। বিগত ৫ বছরে এই পরিমাণ ছিল সবচেয়ে কম। এতে মহামারী পরবর্তীকালে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বাস্তব অবস্থা ফুটে উঠেছে। বৈশ্বিক চলচ্চিত্র শিল্পের ওপর মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব এখনও চলছে।
অস্কার পুরস্কার পাওয়াই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? এ প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন মানুষ নানাভাবে দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ বলেন, অস্কার হলো মার্কিনীদের উদ্যোগে চালু করা পুরস্কার ব্যবস্থা। গত বছর চীন ছিল বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র বাজার। চলতি বছর ‘The Battle at Lake Changjin ’ নামের চলচ্চিত্র অনেক রেকর্ড তৈরি করেছে। উচ্চ পর্যায়ের এসব সাফল্য অর্জিত হলেও অন্যদের স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করা আসলে কতটুকো দরকার? হ্যাঁ, সাংস্কৃতিক দিকে আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে, বাজার বা চলচ্চিত্রের গুণগত মান, যাই হোক না কেন, চলচ্চিত্র খাতের একটি বড় দেশ হিসেবে আমাদের প্রত্যয় ও বিশ্বাস থাকতে হবে। তবে, অন্য দৃষ্টিকোণ থকে বলা যায়, অস্কার গোটা যুক্তরাষ্ট্র এবং সারা বিশ্বের দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র মানদণ্ডের প্রতিনিধিত্ব করে- তা আমাদের শেখা প্রয়োজন। তা ছাড়া, হলিউড চলচ্চিত্র বিশ্ব বাজারে শক্তিশালী প্রভাব বজায় রাখে এবং সত্যিকার সংস্কৃতি রপ্তানি করে- এই অভিজ্ঞতা শিক্ষণীয়। তাই আমাদের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়া এবং চলচ্চিত্র ও শিল্প খাতে একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।