'চকচকে লাল তারা'-China Radio International
চলচ্চিত্রে এমন একটি কথা আছে :That era has passed. Nothing that belonged to it exists anymore।
এই উক্তির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে- পরিচালক ও দর্শকদের উভয়কেই নিজেদের অতীত ভুলে যেতে হবে। অতীত এখন সময়ের দখলে এবং পুষ্পময় দিনগুলোর শেষ হয়েছে। পুষ্পময় দিনগুলো সু এবং চৌ-কে অন্তরঙ্গতার সীমাবদ্ধতা ও অনুভূতি সম্পর্কে ভুল ধারণা জন্মাতে সাহায্য করেছে। এরপরই আসে নতুন যুগ, পরিপক্কতার যুগ, যেখানে আবেগ ও অনুভূতিগুলো লুকায়িত থাকে এক স্থির ভবিষ্যতের খোঁজে। কিন্তু সু অথবা চৌ- দুজনের কেউই অতীত ভুলে যেতে পারেননি। চলচ্চিত্রের শেষদিককার অনেক ঘটনাতেই দেখা যায় তারা পুষ্পময় দিনগুলোর স্মৃতির উপর নির্ভর করে দিন কাটাচ্ছেন। শেষপর্যন্ত, তারা দুজনেই ভবিষ্যতের দিকে তাকান বটে, কিন্তু অতীত ভুলতে না পেরে স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠেন।
আগে বলেছি,টোনি লেউং চিউ উয়াই এ চলচ্চিত্রে চৌ মু ইয়ুনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ম্যাগি চিউং প্রধান নারী চরিত্র অথবা সু লি চেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাদের পারফরমেন্স ছিল অনবদ্য। এতে অভিনয়ের সুবাদে টোনি লেউং চিউ উয়াই জিতে নেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার। এর সিক্যুয়াল '২০৪৬'-এও তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। তিন সিনেমাটোগ্রাফার ক্রিস্টোফার ডয়েল, কয়ান পাং-লিউং এবং মার্ক লি পিং-বিং ষাটের দশকের ব্রিটিশ হংকংয়ের সৌন্দর্য সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন এতে। বিশেষ করে তাদের ক্যামেরায় বৃষ্টির কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। পরিচারক ওয়াং-এর নিয়মিত কোলাবরেটর উইলিয়াম চ্যাং ছিলেন আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে। সেই সময়কার হংকংয়ের চারপাশের পরিবেশ পুনরায় সৃষ্টিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
লিলি/তৌহিদয/শুয়ে