'চকচকে লাল তারা'-China Radio International
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের দোলনা হিসেবে পরিচিত চিয়াংসি প্রদেশের রুইচিন শহরের উদ্যোগে নির্মিত বিরাটাকারের অরিজিনাল মিউজিক্যাল অনুষ্ঠান ‘চকচকে লাল তারা’ সম্প্রতি বেইজিংয়ে মঞ্চস্থ করা হয়। এই অনুষ্ঠানের প্রধান কর্মীদের গড় আয়ু ২৫ বছরেরও কম। তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় এই ক্লাসিকাল শিল্পকর্ম রিমেক করার পর আবারও মঞ্চস্থ হয়।
‘চকচকে লাল তারা’ নামের উপন্যাসটি প্রকাশের পর উপন্যাসের প্রধান চরিত্র পান তোং চি দর্শকদের মনে গভীর দাগ কাটে। অগাস্ট ফাস্ট ফিল্ম স্টুডিওয়ের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে তৈরি একই নামের ফিচার ফিল্ম চীনে সুপরিচিত এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
এ চলচ্চিত্রের কয়েকটি গানের মনোরম সুর কোটি কোটি মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে।
‘চকচকে লাল তারা’ নামের মিউজিক্যালে এমন একটি গল্প তুলে ধরা হয় যে, ১৯৩৪ সালে লাল ফৌজের লং মার্চের পর সেন্ট্রাল সোভিয়েত এলাকায় পান তোং চি নামে এক কিশোর স্থানীয় জনগণের সঙ্গে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং ‘সাদা হররের’ মধ্যে টেম্পারিং এবং ধীরে ধীরে বড় হওয়ার গল্প ফুটে ওঠে। কঠিন ও কষ্টকর সংগ্রামে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যের মূল লক্ষ্য কীভাবে গ্রামীণ এক কিশোরের হৃদয়ে আদর্শের বীজ বপন করে- তা স্পষ্ট দেখা যায়।
সৃজনশীলতা বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরা হয়, অর্থাত্, ইতিহাস ও বাস্তবতার মধ্যে একই আবেদন খোঁজা হলো আমরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং নতুন যুগে আমার মতো সাহিত্য ও শিল্পকর্মীদের নতুন চাহিদা।’ ‘চকচকে লাল তারা’ নামের মিউজিক্যালের চিত্রনাট্যকার ছাও ইউ এভাবেই বলছিলেন।