সিরিয়ার ফটোগ্রাফার মালাস-China Radio International
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সিরিয়ার মানুষের আয়ু ২০১০ সালের ৭০ বছর থেকে ২০১৪ সালের ৫৫.৪তে নেমে যায়। সিরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করছে। যুদ্ধের আগে যা তিন শতাংশেরও কম ছিল।
মালাস মনে করেন, তার ক্যামেরায় ধারণ করা সিরিয়ার সাধারণ মানুষ যুদ্ধের জন্য দায়ী ছিল না। কিন্তু তারা যুদ্ধের মধ্যে আটকা পড়েছিল। তাদের প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তারা ভুলে যাওয়া মানুষ হয়ে ওঠে।
প্রতিদিনের শুটিংয়ে তিনি মাঝেমাঝে কঠিন জীবনের মুখে পড়া মানুষের দৃঢ়তায় অনুপ্রাণিত হন। তিনি বলেন, শুটিংয়ে সময় আমি মানুষের মুখে ভয় ও বিস্ময় দেখেছি। তবে সঙ্গে সঙ্গে আমি মানুষের মুখে বিশ্বাসও দেখেছি। খুব শক্তিশালী এক ধরণের বিশ্বাস। তিনি স্মরণ করে বলেন, তারা আমাকে শিখিয়েছিলো যে, কীভাবে জীবনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হয়।
জীবনের এই বিশ্বাসই মালাসের স্বদেশে থাকার সংকল্প জোরদারে সমর্থন দেয়। তার বন্ধু ও সহকর্মীরা একের পর এক সিরিয়া ছেড়ে চলে গেলেও, মালাস প্রায় জোর করে সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করেছেন। তিনি বলেন, এখানে তার আত্মীয়-স্বজন এবং প্রেমিক আছে, জীবন যতই কঠিন হোক না কেন, তাতে অবিচল থাকতে হবে।
মালাস বলেন, তিনি আগামীতে একদিন ক্যামেরার মাধ্যমে আরো বেশি সিরীয় মানুষদের হাসিমুখ এবং তাদের সুখের গল্প রেকর্ড করতে চান। রাস্তায় লোকদের হাসির দৃশ্য ও সুখ রেকর্ড করতে চাই।
‘কাকের চোখ’ নামের এই অ্যালবামে মালাস ধ্বংসাবশেষ এবং আগাছায় ভরা ছবির নিচে একটি প্রশ্ন রেখেছেন যে, দীর্ঘ রাত কীভাবে কাটবে?
দিদ্বীয় অংশে করোনার মধ্যেও ভালো আয় করা ১০টি ছবির দিকে দৃষ্টি দেবো।
করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে সারা বিশ্বে সিনেমা ব্যবসায় বড় ধরনের ধস চলছে। ডিজনি, প্যারামাউন্ট, সনি পিকচার্সের মতো বড় বড় প্রযোজনা ও ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠানগুলো সিনেমা মুক্তির ঘোষণা দিয়েও পিছিয়ে এসেছে। তবে এ বছর থেকে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়তে থাকে। মন্দার মধ্যেও যে ১০টি সিনেমা আয়ে রেকর্ড করেছে, আজকের অনুষ্ঠানে তার ওপর দৃষ্টি দেবো।