হংকংয়ের অভিনেতা ইয়াম টাট ওয়াহ-China Radio International
ইয়াম টাট ওয়াহ মনে করেন, ভালো চলচ্চিত্র সবসময়ই দর্শকদের মুগ্ধ করে এবং স্থায়ী ইতিবাচক শক্তি পৌঁছে দেয়।
ছোটবেলায় ইয়াম টাট ওয়াহের পরিবার অনেক দরিদ্র ছিলো। তাই তিনি বাইরে বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন ও অর্থ উপার্জন করতেন। এরপর তিনি বিনোদন জগতে পা বাড়ান। বহু বছর ধরে নানা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। ২০১০ সালে ‘Echoes Of The Rainbow’ নামের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি (Hong Kong Film Awards) হংকং ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসের সেরা অভিনেতার খেতাব পান।
গত শতাব্দীর ৮০ ও ৯০-এর দশকে ইয়াম টাট ওয়াহ চীনের মুলভূভাগে ভ্রমণ করেছেন। তখন মুলভূভাগের পরিবহনব্যবস্থা ততটা ভালো ছিল না। তবে তিনি বলেন, যেখানে আমরা ঘুরে বেড়িয়েছি, সেখানকার মানুষ অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ ও অতিথিপরায়ণ।
ইয়াম টাট ওয়াহের পৈত্রিক বাড়ি চীনের শানতোং প্রদেশ। তিনি মাঝেমাঝে বলেন, আমি শানতোংয়ের মানুষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি থাই পাহাড় ছাড়া শানতোং প্রদেশের প্রায় সব জায়গায় ঘুরেছেন। গত বছরে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি থাই’আন শহরে আসেন। তিনি বলেন, শানতোংয়ের মানুষ হিসেবে আমাকে থাই পাহাড়ে যেতেই হবে। দু’মাস সময়ে তিনি মোট ১৫ বার থাই পাহাড়ে আরোহণ করেছেন। তিনি নিজেই বুঝতে পারেন না যে, হংকংয়ের অধিবাসী হয়েও তিনি কেন শানতোংয়ের সবুজ পেঁয়াজ ও রসুন খেতে পছন্দ করেন। এর স্বাদ এত ভালো লাগে কেন!
বিশাল ও বিস্তৃত মাতৃভূমির অনেক দৃশ্য তাকে বিস্মিত করে। তিনি আশা করেন, হংকংবাসী বিশেষ করে হংকংয়ের তরুণ তরুণী চীনের মুলভূভাগে বেড়াবে এবং দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবে। বই বা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নয়, নিজ উদ্যোগে মুলভূভাগের দৃশ্য উপভোগ করা অন্য রকম অনুভূতি বলে তিনি মনে করেন।
ইয়াম টাট ওয়াহ বলেন, গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে মুলভূভাগ দরিদ্র ছিলো। তখন অনেক ভালো জিনিস হংকংয়ে সরবরাহ করা হতো। তার স্মৃতিতে ছোটবেলায় হংকংয়ে পানির অভাব ছিলো। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি সরবরাহ করা হতো। প্রতি চার দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা পানি পাওয়া যেতো। গ্রীষ্মকাল অনেক গরম থাকতো। পানি না থাকলে অনেক কষ্টকর হয়ে যেতো। পরে আমাদের মাতৃভূমি তোংচিয়াং নদীর পানি সরবরাহের মাধ্যমে সে সমস্যা সমাধান করেছে।