দ্য ইল-China Radio International
তারপর এরিক আবার নিরক্ষীয় গিনিতে ফিরে যান। একদিকে তিনি চাকরি করতেন, অন্যদিকে তিনি পার্টটাইম কাজ হিসেবে শিশুদেরকে সাঁতার শেখাতেন।
২০১২ সালে এরিক আরেকটি নতুন পরিচয় পান। তিনি হলেন নিরক্ষীয় গিনির জাতীয় সাঁতার দলের কোচ।
তার প্রচেষ্টা ও আহ্বানে নিরক্ষীয় গিনিতে দুটি স্ট্যান্ডার্ড সুইমিং পুল তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘যখন আমি অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতাম, তখন প্রশিক্ষণের জন্য কোনো সুইমিং পুল ছিলো না। বর্তমানে তরুণ তরুণীরা সুইমিং পুলে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সময় আমার মতো তারা আর ভয় পাবে না। তবে অলিম্পিকে পদক জয় করা আমাদের জন্য অসম্ভব। অবশ্য, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ না। সবচে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: আফ্রিকার আরো বেশি শিশু সাঁতার শিখবে এবং সাঁতার কাটার অধিকার ও স্বাধীনতা লাভ করবে।’
চলতি বছর টোকিও অলিম্পিক গেমসে নিরক্ষীয় গিনি থেকে মোট পাঁচজন খেলোয়াড় এসেছে এবং তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন সাঁতারু।
সিডনি অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়ার সেই ঐতিহাসিক ভিডিও এরিক তার বাসায় রেখেছেন। সময় পেলেই তিনি নিজের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেখেন। চোখ বন্ধ করলেই মাথায় সেই দৃশ্য ভেসে ওঠে। সুইমিং পুলে আফ্রিকার একজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ প্রায় ডুবে ডুবে সাঁতার কাটছে, জীবন বাঁচানোর মতো করে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছে!
এটি হলো এরিকের খুবই ছোট একটি পদক্ষেপ, তবে অসংখ্য আফ্রিকান শিশুর বিশ্ব দেখার বড় একটি পদক্ষেপ।
অলিম্পিকের জনক হিসেবে পরিচিত ব্যারোন পিয়েরে দে কুবার্তে বলেছিলেন, অলিম্পিক গেমসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিজয়ী হওয়া নয়, বরং অংশগ্রহণ করা।
যেমন, জীবনের সবচে প্রয়োজনীয় বিষয় বিজয়ও নয়, বরং কঠোর পরিশ্রম করা।
লিলি/তৌহিদ/শুয়েই