দ্য ইল-China Radio International
কারণ এই পুলটি শুধু হোটেলের অতিথির জন্য খোলা থাকে।
সেই পুলের কর্মকর্তাই তার প্রথম শিক্ষক হয়ে ওঠেন।
তবে প্রতিদিন মাত্র এক ঘণ্টা প্রশিক্ষণ যথেষ্ট ছিলো না। কোনো উপায় না থাকায় তিনি প্রতিদিন হোটেল থেকে চলে যাওয়ার পর নদীতে বা সাগরে সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
নদীতীরের জেলেরা তাকে শেখান।
এভাবে ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিক উদ্বোধনের ৫ দিন আগে এরিক ৫০ পাউন্ড এবং সেকেন্ড হ্যান্ড দোকান থেকে কেনা সবচে ভালো সরঞ্জাম নিয়ে অলিম্পিকের জন্য যাত্রা শুরু করেন। সে বছর নিরক্ষীয় গিনি থেকে মোট চারজন খেলোয়াড় অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এরিক সেদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষে পতাকা বহন করেন।
এরিক আগে কখনও বড় শহর দেখেন নি। এরকম বিশাল স্টেডিয়ামও দেখেন নি। প্রথমবারের মতো বড় শহরে এসে এরিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাথা নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
দেশে ফিরে যাওয়ার পর এবারের অলিম্পিক যাত্রা তার কাছে বিরাট এক স্বপ্নের মতো মনে হয়।
সিডনির অভিজ্ঞতার কারণে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেন। তিনি পেশাগত সুইমিং পুলের অধিকারী হন এবং কোচও পান।
চার বছর পর তিনি সাফল্যের সঙ্গে ১০০ মিটার ফ্রইস্টাইল সাঁতার ৫৭ সেকেন্ডে সম্পন্ন করেন।
এথেন্স অলিম্পিক গেমসে এরিকও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে নিরক্ষীয় গিনির অলিম্পিক কমিটির একটি ভুলের কারণে তিনি এথেন্স অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে পারেন নি।
২০০৬ সালে জার্মানির ডুসেলডর্ফ সাঁতার প্রতিযোগিতায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মাত্র ৫২.১৮ সেকেন্ডে তিনি ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার সম্পন্ন করেন। এই ফলাফল ১৯৬৮ সালের আগের সব চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যায়। তবে খেলোয়াড় হিসেবে এটিই ছিল তার শেষ প্রতিযোগিতা।