নতুন যুগে ‘মূল ধারার’ চলচ্চিত্রের ঐতিহাসিক ভূমিকা-China Radio International
দ্বিতীয়ত, বর্তমানে ‘মূল ধারার’ চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট ও দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তিত হয়েছে। আগে ‘মূল সুরের’ চলচ্চিত্রগুলোতে প্রধানত দেশ ও জাতির ওপর ফোকাস করা হতো। সেগুলোতে সামষ্টিক দৃষ্টি থেকে ইতিহাস পর্যন্ত দেখা যেতো। তবে, বর্তমানে ‘মূল ধারার’ চলচ্চিত্রে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হতে দেখা যায়। এতে মানুষ ও যুগের সম্পর্ক ফুটে ওঠে।
তৃতীয়ত, মূল ধারার চলচ্চিত্রে অনেক বড় বড় তারকাদের দেখা যায়। তাদের অংশগ্রহণে মূল ধারার চলচ্চিত্রগুলো অনেক দর্শক- বিশেষ করে তরুণ দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে তারকাদের জন্য মূল ধারার চলচ্চিত্রে কাজ করা গৌরবের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মহান তারকাদের যোগদানের পাশাপাশি, মূল ধারার চলচ্চিত্র অনেক নেপথ্যে-প্রযোজকের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে।
বর্তমানে ‘মূল ধারার’ চলচ্চিত্রগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বক্সঅফিসের ফলাফল বা মুভি’র গুণগত মান- যাই হোক, আগের তুলনায় তা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশীয় বক্সঅফিসের লিডারবোর্ডে প্রথম দশটি চলচ্চিত্রের মধ্যে ৫টিই হলো মূল সুরের চলচ্চিত্র। বলা যায়, বর্তমানে ‘মূল ধারার’ চলচ্চিত্রগুলো আগের রাজনৈতিক প্রচারণার ট্যাগ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এসব চলচ্চিত্রে দর্শক স্বীকৃতি ছাড়াও, তাদের শক্তিশালী বাণিজ্যের সম্ভাবনাও দেখা যায়।
দেশের সংশ্লিষ্ট নীতির সমর্থনে ‘মূল ধারার’ চলচ্চিত্র উন্নত করা উচিত্। তা ছাড়া, এ ধরনের চলচ্চিত্রে অব্যাহতভাবে সংস্কার ও সৃজনশীলতা চালানো উচিত্। তাই আশা করা যায়, ভবিষ্যতে বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় মূল ধারার চলচ্চিত্রের বিশাল উন্নয়নের সুযোগ থাকবে।
জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য উপায়ে গুরুগম্ভীর বিষয় তুলে ধরা হবে ভবিষ্যতে মূল ধারার চলচ্চিত্র উন্নয়নের প্রধান দিক। যেমন, যুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্রে কেবল রক্তপাতকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত্ নয়, বরং যুদ্ধবিরোধী চিন্তাধারা এবং সুন্দর জীবনের প্রতি আকাঙ্ক্ষার অনুভূতি প্রকাশ করতে হবে। আরো সার্বিক ও বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে একজন বীর বা বিপ্লবীর ভাবমূর্তি গঠন করা উচিত্।
