টানা ১৫ বছর ধরে চীনের খবর প্রচার করছেন মার্কিন সাংবাদিক এরিক নিলসন-China Radio International
চীনে না আসলে চীন সম্পর্কে আমার জানাশোনা এত গভীর হতে পারত না। চীন সম্পর্কে আমার জানার কোনো সুযোগ ছিলো না। কারণ, চীন নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরাখবর ছিল ভুলে ভরা।
তিনি বলেন, আসল চীন সম্পর্কে জানতে চাইলে চীনের যে কোনো অংশে এবং চীনা জনগণের মধ্যে যেতে হবে। চীনা জনগণের মুখোমুখি হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে আমার চীন সম্পর্কে জানার সুযোগ হতো না।
বর্তমানে চীনে এরিকের পনেরো বছর পূর্ণ হয়েছে। তিনি ‘সূর্য উদয়—মার্কিন ভাইয়ের চোখে চীনের দারিদ্র্যবিমোচনের বিস্ময়’ নামে একটি বই লিখেছেন। এ বইয়ের পাণ্ডুলিপি রচনার ফি এরিক সম্পূর্ণ ছাইহাইয়ের পশুপালকদের পরিবারে দান করবেন।
এরিক চীন সরকারের দেওয়া ‘মৈত্রী পুরস্কার’ পেয়েছেন। তিনি চীনা জনগণের সঙ্গে গভীর অনুভূতি বিনিময়ের সেতু সৃষ্টি করেছেন।
এরিক বলেন, তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে গিয়েছেন। তিনি ছাড়া, পরিবারের অন্য সদস্যদের ‘অতি উচ্চতার সমস্যার’ কারণে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দেয়। তিনি মজা করে বলেন, হয়তো পূর্বজন্মে তিনি ছিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে চড়ে বেড়ানো কোনো ইয়াক ছিলেন, তাই তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাইক্রোব্লগে অনেকেই এরিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সত্যিকার এক চীনকে তুলে ধরার জন্য এরিককে ধন্যবাদ। এসব প্রশংসার জবাবে এরিক বলেন, তার তুলে ধরা গল্প শুধু চীন-বিষয়ক গল্পই নয়, বরং মানবজাতির গল্পও বটে।