টানা ১৫ বছর ধরে চীনের খবর প্রচার করছেন মার্কিন সাংবাদিক এরিক নিলসন-China Radio International
এরিক নিলসন টানা ১৫ বছর ধরে চীনের খবর প্রচার করে আসছেন। তিনি ১৫ বার চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ওয়েনছুয়ান ভূমিকম্প-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আট বছর ধরে তিনি চীনের বিভিন্ন দরিদ্র অঞ্চলে গিয়েছেন। তিনি ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির পশুপালকদের সঙ্গে একসাথে থেকেছেন, খেয়েছেন। চীনা নেট ব্যবহারকারীরা তাকে ‘মার্কিন ভাই’ বলে ডাকেন।
এরিক বলেন, চীন যেন একটি পেঁয়াজের মতো। এক স্তর খোসার পর আরেকটি স্তর আছে। সারা জীবন ধরে চীন সম্পর্কে জানতে চাইলেও- তা যেন শেষ হয় না।
মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় তিনি যুদ্ধের প্রতিবেদক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ২০০৫ সালে এরিক চায়না ডেইলি পত্রিকায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান। সেই সময় তিনি বুঝতে পারেন নি যে, চীন সম্পর্কে তার জানাশোনা খুব কম।
তিনি বলেন, যখন আমি চীনে পৌঁছাই, তখন একেবারে নতুন একটি জগত আমার চোখে পড়ে; যা আমার কল্পনার চেয়ে একদম ভিন্ন।
আগে এরিক ভেবেছিলেন, তিনি চীনে এক বছর থেকে চলে যাবেন। তবে তিনি জানতেন না যে, এক বছর পর তিনি চায়না ডেইলি পত্রিকায় কাজ করা শুরু করবেন।
২০০৮ সালে চীনের ওয়েনছুয়ানে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। এরিক ১৫ বার ভূমিকম্প-কবলিত এলাকায় যান। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভূমিকম্প-কবলিত এলাকায় তিনি দীর্ঘ ৮ মাস অবস্থান করেছিলেন।
এখনও তিনি ভূমিকম্প-কবলিত এলাকার নানা ভাঙা অবস্থার কথা মনে রেখেছেন। তিনি বলেন, আগে তাঁর দেখা অন্যান্য জায়গার চেয়ে ভূমিকম্প-কবলিত এলাকা একেবারে ভিন্ন রকম ছিল। সবখানে ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য চোখে পড়ত!
তবে, তিনি শেষবার যখন সেখানে যান সেখানকার দৃশ্য দেখে তিনি হতবাক হয়ে পড়েন। পুনর্নির্মিত বাড়িঘর ভূমিকম্পের আগের চেয়ে আরো উন্নত ও সুসম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে আমি জনৈক ব্যক্তির সাক্ষাত্কার নিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছিলেন যে, ভূমিকম্প বিরাট প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় ১০ বছর সময় লাগে। তবে চীন মাত্র পাঁচ বছরে ভূমিকম্পোত্তর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে।