টানা ১৫ বছর ধরে চীনের খবর প্রচার করছেন মার্কিন সাংবাদিক এরিক নিলসন-China Radio International
“শিক্ষার্থীদের তাঁবুগুলো প্রথমবারের মতো আলোকিত হওয়ার পর সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উল্লাস করেন এবং আমার মনও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।”
তারপর এরিক ইউশুছু মালাই জেলার সব স্কুলের জন্য সৌর প্যানেলের ব্যবস্থা করেন এবং হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ক্লাসরুম ও ছাত্রাবাসে বিদ্যুত্ সরবরাহ করা শুরু হয়।
সে সময় এক ছাত্রীর দেওয়া একটি উপহার এরিকের মনে গভীর দাগ কাটে। এই উপহারটি ছিল হাতে তৈরি স্লিং শট। ছাত্রী তাকে বলেন, এই স্লিং শট ছাড়া আপনাকে দেওয়ার মতো আমার কাছে আর কিছু নেই। আমি নিজেই এই স্লিং শট তৈরি করেছি।
২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এরিক ও তার স্বেচ্ছাসেবক দল বহুবার বেইজিং ও ছিংহাইয়ে যাতায়াত করেছেন। এ সময় নীরবে-নিভৃতে বিশাল পরিবর্তনও ঘটেছে।
২০১৩ সাল থেকে চীন সরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দারিদ্র্যমোচন পরিকল্পনা শুরু করে। ইয়াংসি নদী, হোয়াংহো নদী ও লানছান নদীর উত্সমুখ হিসেবে ছিংহাই প্রদেশের ছুমালাই জেলা হলো দারিদ্র্যমোচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানকার বিভিন্ন স্কুলের বিশাল পরিবর্তন দেখে এরিক মনে মনে ভাবেন যে, তিনি মনে হয় ভুল জায়গায় এসে পৌঁছেছেন!
এরিক বলেন, চীন সত্যিই দারিদ্র্যবিমোচনে অগ্রাধিকার দিয়েছে। একটি বিষয় অন্য দেশের মানুষের পক্ষে বোঝা একটু কঠিন। তা হলো- মহামারী শুরু হলেও চীন দারিদ্র্যবিমোচনের কাজ ছেড়ে দেয় নি।
অবশেষে এরিক নিজের ইচ্ছা পরিবর্তন করেন। তিনি যুদ্ধাঞ্চলের প্রতিবেদক হন নি; বরং তিনি চীনের দারিদ্র্যবিমোচন খাতের অংশগ্রহণকারী, সাক্ষী ও সংরক্ষণকারী হয়েছেন।
সাংবাদিকতার কাজে এক দশকে এরিক চীনের মুলভূভাগের প্রতিটি প্রদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় এরিক বলেন, চীন প্রসঙ্গে কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রচারণা সঠিক নয়। চীনে আসার সুযোগ পেয়ে তিনি গর্ব বোধ করেন এবং ফলে তিনি প্রকৃত চীনকে জানতে পেরেছেন।