টানা ১৫ বছর ধরে চীনের খবর প্রচার করছেন মার্কিন সাংবাদিক এরিক নিলসন-China Radio International
তিনি বলেন, চীন কীভাবে এ রকম বিস্ময়কর কাজ করেছে? এ প্রশ্নের উত্তর সম্পূর্ণ অনুধাবন করা বিশ্বের জন্য অসম্ভব। আমি ভাবছি, চীন ছাড়া আর কোনো দেশ কি এমন বিশাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর এত দ্রুত পুনর্নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে?
ওয়েনছুয়ানের অবস্থা প্রচার করার সময় এরিক আরো কয়েকজনের সঙ্গে পরিচিত হন এবং একটি সেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন। তারা একসঙ্গে ভূমিকম্প-কবলিত এলাকার জন্য কাজ করেন।
২০১১ সালে ছিংহাই থেকে একজন উপাচার্য এরিককে বলেন, তাদের স্কুলে বিদ্যুত্ সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। তবে, ১০ হাজার ইউয়ান মূল্যের দুটি সৌর প্যানেল এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। উপাচার্য এরিককে জিজ্ঞাস করেন যে, তিনি তাদের সাহায্য করতে পারবেন কিনা? এরিক কোনো দ্বিধা না করেই রাজি হয়ে যান। তিনি মনে করেন, একটি সৌর প্যানেল কিনে দিতে পারলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে তা আলো দিতে পারে। তাকে এ কাজ করতেই হবে বলে তিনি সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি স্বীকার করেন, আমাদের বিশ্বকে আরো সুন্দর করে তোলার আস্থা তিনি ওয়েনছুয়ান ভূমিকম্পোত্তর পুনর্নির্মাণ কাজ থেকে পেয়েছেন। তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই বিশ্ব আরো সুন্দর হয়ে উঠবে। ভূমিকম্পের পর ওয়েনছুয়ানের অবস্থা ছিল দারুণ ভয়াবহ। এখন সেখানকার অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। স্বচক্ষে না দেখলে তা বিশ্বাস করা যায় না। সেই সময় থেকেই আমি মূলত চীনকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি।
২০১১ সালের জুলাই মাসে বিমান ও ট্রেন দিয়ে মালভূমি ও পর্বতাঞ্চল পার হয়ে এরিক ছিংহাই প্রদেশের ছুমালাই জেলার ইয়েকে গ্রামে যান। সেখানে তিনি স্থানীয় শিক্ষকদের সঙ্গে যৌথভাবে সৌর প্যানেল স্থাপন করেন। তারপর উজ্জ্বল আলোয় প্রথমবার শিক্ষার্থীদের তাঁবুতে যাওয়ার পর সবাই উল্লসিত হয়ে ওঠে।
‘সূর্য উদয়—মার্কিন ভাইয়ের চোখে চীনের দারিদ্র্যবিমোচনের বিস্ময়’ নামে এরিক তার নতুন বইটিতে লিখেন,