বাংলা

‘ Days and Nights in Wuhan’ শীর্ষক মহামারী প্রতিরোধবিষয়ক প্রথম প্রামাণ্য চলচ্চিত্র-China Radio International

criPublished: 2021-02-09 13:29:02
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এই প্রামাণ্যচিত্রে দুটি মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। যা দেখে দর্শকেরা নিজেদের কান্না ধরে রাখতে পারেনা না। প্রথমে আমরা দেখি যে, সু চিয়ে নাম একজন হেড নার্স হাউমাউ করে লাশবাহী গাড়ির পিছনে ছুটছেন। তিনি তার বাবাকে একবার শেষ দেখা দেখতে চান।

দ্বিতীয় এক দৃশ্যে দেখা যায়, নার্স প্রতিরোধক বেড়ার এক পাশ থেকে অন্যদিকে দাঁড়ানো নিহত রোগীর আত্মীয়স্বজনকে মৃতদেহ রিলিজ-সংক্রান্ত কাগজপত্র দিচ্ছেন। তাদের কথোপকথন খুব সহজ। কিন্তু, তা শুনে মানুষের হৃদয় ও চোখ আর্দ্র হয়ে ওঠে।

বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এ দু’টি জায়গা ঠিক কী কারণে দর্শকদের মনে গভীর দুঃখের অনুভূতি তৈরি করে! কারণ, এতে মহামারীর সময় উহান শহরের অধিবাসীদের ওপর আঘাত ও কষ্টের বাস্তব চিত্র উদঘাটিত হয়েছে। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে দেখানো মৃত্যুগুলো ছিল জীবনের খুব কাছাকাছি ঘটনা। কষ্ট মনে চাপা দিয়ে রেখে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করলে সবাই সুখে থাকতে পারবে- এমন বাস্তবতা এই চলচ্চিত্রে জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

‘ Days and Nights in Wuhan’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে জীবনের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। রোগীদের সুস্থ হওয়া, হাসপাতালে নবজাতকের জন্মগ্রহণ— এসব বিষয় প্রাণবন্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে। মহামারীর সময় যেসব শিশু উহানের হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছিল, তাদেরকে আরো বেশি যত্ন নেওয়া হয়। মহামারীর ধারাবাহিক মৃত্যুর সময় শিশুদের জন্মগ্রহণ ও তাদের যত্ন নেওয়া— এই প্রামাণ্যচিত্রে বিশেষ অর্থ যোগ করেছে।

প্রামাণ্যচিত্রের শেষে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছে। তাদের পিছনের টেবিলে মৃত আত্মীয়স্বজনের ছবি রাখা হয়েছে। এক-একটি পরিবারে ভাইরাসের ভয়াবহ ছোবলে প্রাণহানির চিত্র এর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। যারা বেঁচে থাকার সৌভাগ্য পেয়েছেন, তারা অবশ্যই তাদের জীবন সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন। এটাই চীনাদের অপরাজেয় চরিত্র ও অদম্য জীবনীশক্তির বৈশিষ্ট্য।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn