বাংলা

রাশিয়ার চলচ্চিত্র ও রুশ চলচ্চিত্র বাজার-China Radio International

criPublished: 2020-12-16 16:15:10
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

রুশ চলচ্চিত্রের সৃজনশীলতা ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত লোকজন আরো পরিচিত হয়ে ওঠেন। আন্দ্রে ভিয়াগিনাতসেভের প্রথম শিল্পকর্ম ‘The Return’ ২০০৩ সালে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। ‘Leviathan’ নামের চলচ্চিত্র ২০১৪ সালে কান চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের পুরস্কার জয় করে। ‘Paper Soldier’ নামে অ্যালেক্সাই অ্যালেক্সসেয়েভিচ গের্মানের পরিচালিত চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালে ভেনিসের শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার লাভ করে এবং অ্যালেক্সান্দার সোকুরোভের পরিচালিত ‘Faust’ চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।

মোটের ওপর বলতে গেলে রুশ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চেয়ে রুশ পরিচালকদের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বেশি হয়।

আসলে চীনে রুশ বৈশিষ্ট্যের চলচ্চিত্র আমদানির ইতিহাস প্রায় শত বছরের। গত শতাব্দীর বিশের দশক থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের চলচ্চিত্রগুলো চীনে আমদানি করা শুরু হয়। ৩০ দশকে চীনের বিপ্লব ঘাঁটিতে তা প্রদর্শিত হয়েছিলো। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ৫০ দশকে চীনে প্রদর্শিত সোভিয়েত ইউনিয়নের চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় ৭৫০টিতে উন্নীত হয়। সেসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের চলচ্চিত্রগুলো দর্শকদের ব্যাপক সমাদর পায়। তবে, সময় এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনের চলচ্চিত্র বাজারে রুশ চলচ্চিত্রের কিছুটা সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় চীনে রাশান চলচ্চিত্রের প্রভাব দিন দিন কমে আসে।

তবে, চীন ও রাশিয়ার সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘনিষ্ঠতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’দেশের চলচ্চিত্র খাতে সহযোগিতা আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। ২০০৬ সাল থেকে প্রতি দু’বছরে একবার কোরে ‘চলচ্চিত্র সপ্তাহ’ কার্যক্রম আয়োজন করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ শুরু হলে ‘চলচ্চিত্র সপ্তাহের’ কার্যক্রম প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হয়। রাশান চলচ্চিত্রের জন্য চীনের দরজা আরো প্রসারিত হয়েছে। প্রতি বছর চীন ৫/৬টি রুশ চলচ্চিত্র আমদানি করে। ২০১৭ সালে চীন ও রাশিয়া যৌথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরও করেছে। আশা করা যায়, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ দুই দেশের বিভিন্ন মহলের কাছে গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি, চীন ও রুশ চলচ্চিত্র খাতে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়বে। এখন আরও বেশি সহযোগিতা প্রকল্প চালু হচ্ছে এবং চীনের বাজারে ‘রুশ চলচ্চিত্রের সুদিন’ ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

首页上一页1234 4

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn