রাশিয়ার চলচ্চিত্র ও রুশ চলচ্চিত্র বাজার-China Radio International
তবে, দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের বিশাল সংস্কার চলচ্চিত্র শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলে রুশ চলচ্চিত্র বাজার সার্বিকভাবে উন্মুক্ত হতে শুরু করে। ফলে জাতীয় মুভি স্টুডিওগুলোর অবস্থা ক্রমশঃ অবনতি হচ্ছিলো এবং বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থার উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। প্রকাশনা সংস্থা বিদেশ থেকে আমদানি করা চলচ্চিত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণে মার্কিন চলচ্চিত্রগুলো বন্যার পানির মতো রাশিয়ার চলচ্চিত্র বাজার দখল করে নেয় এবং সরাসরি দেশীয় চলচ্চিত্র খাতে আঘাত হানে।
২১ শতকের প্রথম দুই দশকে রাশিয়ার চলচ্চিত্র বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন চলচ্চিত্র শিল্পকে সমর্থনের জন্য ধারাবাহিক নীতিমালা গ্রহণ করে। যেমন, রাষ্ট্রায়ত্ত মুভি স্টুডিওয়ের সংস্কার এবং দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানো ইত্যাদি। এসব নীতি বহুবছর ধরে চালু রয়েছে। ফলে রাশিয়ার চলচ্চিত্র বাজারে হলিউডের চলচ্চিত্র শীর্ষস্থানে থাকলেও এসময় রাশিয়ার নিজস্ব চলচ্চিত্র অঙ্গন ধাপে ধাপে শক্তিশালী হতে থাকে।
বিগত দশ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাশিয়ার চলচ্চিত্র বাজারে বক্স অফিসে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের সংখ্যা ও দর্শকসংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১১ সালে মাত্র ৬৭টি চলচ্চিত্র রশার সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছিলো এবং এই সংখ্যা ২০১৯ সালে ১২২টিতে গিয়ে ঠেকে। ২০১১ সালে সিনেমা হলে গিয়ে চলচ্চিত্র উপভোগ করেছিল মাত্র ১৬ কোটি মানুষ। সেই সংখ্যা ২০১৯ সালে এসে হয় প্রায় ২২ কোটি।
রাশিয়ার চলচ্চিত্র বাজার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য অর্জনের পর যুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র, সাই-ফাই চলচ্চিত্র, কমেডি ও ক্রীড়াবিষয়ক চলচ্চিত্রগুলো ধীরে ধীরে উন্নত হয়। দেশীয় চলচ্চিত্র অঙ্গন চাঙ্গা করায় তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।