চলুন বেড়িয়ে আসি: তুরস্কের কাপ্পাডোসিয়া-China Radio International
কাভুসান ভিলেজ : এভানোসে অবস্থিত এই ভিলেজে দুটি বাইজেন্টাইন চার্চ আছে। এই গ্রামে ঢোকা মাত্রই কিছু অদ্ভুত সুন্দর দেয়াল চিত্র চোখে পড়বে। হাইকিং করে এখানকার যেকোনো পরিত্যক্ত বাড়ির উপরে উঠলে কাপ্পাডোসিয়ার সবচেয়ে পুরনো সেন্ট জনস ব্যাপিস্টের চার্চ চোখে পড়বে।
ডেভরেন্ট ভ্যালি : কাপ্পাডোসিয়ার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে "পাইন ভ্যালি" হিসেবেও পরিচিত এই ভ্যালি বেশ জনপ্রিয়। এখানের চারপাশের দৃশ্য বেশ সুন্দর। এক পরাবাস্তব দৃশ্যের অবতারণ হয় যখন ভ্যালির খোঁদাইকৃত পাথরের রঙ প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে। মূলত এখানে অতিরিক্ত আগ্নেয়গিরি ও ভূ-স্তরের ক্ষয়ের কারনের এই ধরনের বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে যা পূর্ণিমার সময় এক ঐশ্বরিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। আর তাই এই জায়গা লুনার ল্যান্ড স্কেপ দেখার জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন পশুর আকৃতি দিয়ে বেশ কিছু ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে যা দেখলে মনে হবে যেন কোনও ভাস্কর্যের চিড়িয়াখানায় এসেছেন।
গোরেমে ন্যাশনাল পার্ক : এই পুরো পার্ক জুড়ে প্রাচীন চার্চ, গুহা ও অন্যান্য বেশ কিছু স্থাপনা আছে যা ঘুরে দেখতে বেশ ভালো লাগবে। এই ঐতিহাসিক স্থানে ঘোরার জন্য সাথে একটি গাউড বই বা কোনও ট্যুর গাইড থাকলে ভালো। বিশ্ব ঐতিহ্য বাহী স্থান হিসেবে ১৯৮৪ সাল থেকে এই স্থান স্বীকৃত। এখানে একটি উন্মুক্ত জাদুঘর আছে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে এই পার্ক।
জেলভে ওপেন এয়ার মিউজিয়াম: গুহার মধ্যে অবস্থিত এই জাদুঘর কাপ্পাডোসিয়ার একটি বিশেষ আকর্ষণ। এই গুহার আঁকাবাঁকা খাঁড়া পথ ধরে হাটার সময় গুহার ভিতরের অভ্যন্তরীণ কাঠামো চোখে পরার মতো। এক ধরনের এডভেঞ্চারের অনুভূতি আসে এখানে ঘুরতে আসলে।
ওপেন এয়ার মিউজিয়াম
টাউন অফ এভানোস: কাপ্পাডোসিয়ার লাল নদী হিসেবে পরিচিত কিজিলিরমার্কের তীরে অবস্থিত টাউন অফ এভানোস। কাপ্পাডোসিয়ার গোরেমে থেকে ৮কিলো দূরে এই স্থান পর্যটকদের প্রানবন্ত করার মতো এক জায়গা। এখানে পর্যটকদের জন্য একটি আধুনিক হাম্মাম (তুর্কিশ স্নানাগার) আছে।