প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তার তাৎপর্য
কিন্তু, কীভাবে চীন বিশ্ব অর্থনীতির এ দুর্দশার মধ্যেও অসাধ্য সাধন করলো?
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মনে করেন, চীন যে অভূতপূর্বভাবে উন্নয়নের ধারায় অগ্রসর হতে পেরছে, এর মৌলিক কারণ চীনের সমাজ ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের স্বার্থের অনুকূলে। চীন সাম্যের পথে, সমাজতন্ত্রের অভিমুখে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের পথে অবিচল থেকে অগ্রসর হয়েছে। এই আশ্চর্য ঘটনার কারণ হলো, চীনের সমাজ ব্যবস্থা এবং তার নেতৃত্বেৃ কমিউনিস্ট পার্টি, তার পলিট ব্যুরো এবং কমরেড সি চিনপিংয়ের নেতৃত্ব। তারা যে সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছেন, ভিন্ন একটা পথে অগ্রসর হচ্ছেন, সেটাই তার কারণ। তিনি এ প্রসঙ্গে চীনের গুণগত উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।
২০২৩ সালে সি-পুতিন ও সি-বাইডেন শীর্ষ বৈঠকসহ বেশ কিছু সফর ও আন্তর্জাতিক ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সি। শুভেচ্ছা বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট কূটনৈতিক সাফল্যের কথাও তুলে ধরেছেন।
এ প্রসঙ্গে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এখন যেটা গ্লোবাল ইকোনমি বা গ্লোবাল পলিটিক্যাল সিচুয়েশন বলা হয় সেখানে পশ্চিমা দুনিয়ার আধিপত্য। মুনাফার জন্য তারা বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক রাখে অর্থাৎ তাদের কূটনীতি ‘প্রফিট মোটিভ’। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমটা হচ্ছে, তারা প্রকৃত আন্তর্জাতিকতাবাদী হিসেবে সমগ্র বিশ্ব সভ্যতাকে নিয়ে একসঙ্গে অগ্রসর হতে চায়। আর এই যে প্রসপারিটি (সমৃদ্ধি) শেয়ার করতে হবে, এটা শুধু দেশের ভিতরে না এটা গ্লোবালি, বিশ্বের সব দেশকে অংশীদার করার নীতির ভিত্তিতে চীন চলে।
প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগকে সুনির্দিষ্ট করেছেন, এটা শুধু আপ্ত বাক্য না, এবং সেই ধারায় চলার কারণেই তার কূটনৈতিক সাফল্যগুলো এসেছে।