প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তার তাৎপর্য
চীন শুধু নিজেকে উন্নত করে না, বরং বিশ্বকেও আলিঙ্গন করে এবং বড় দেশের দায়িত্ব পালন করে- শুভেচ্ছা বার্তায় প্রেসিডেন্ট সি’র এ বক্তব্যের উচ্চমূল্যায়ন করেন সিপিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ যখন ব্রিটিশ কলোনি ছিল, তখন তারা বলতো হোয়াটম্যানস বার্ডেন- সাদা চামড়ার মানুষের বোঝা, আমাদের সিভিলাইজেশনকে সরিয়ে দিতে হবে। কমরেড সি চিনপিং কিন্তু উল্টো কথা বলছেন, তিনি বলছেন, বৈচিত্রের মধ্য দিয়েই আমরা বিশ্বসভ্যতাটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। সুতরাং এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যখন কেউ দেশ পরিচালন করে তখন স্বাভাবিকভাবেই সকলকে মিলিয়ে, সকলকে অংশীদার করেই যাতে উন্নয়নের সুফল সবার মাঝে বন্টিত সেই চেষ্টার ভিতরেই কিন্তু গণচীন নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আমরা দেখবো সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
আগামী বছর গণচীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে চীনের বৈশিষ্টময় আধুনিকায়ন বেগবান করা এবং চীনের মানুষের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট সি।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মনে করেন, চীনের নবজাগরণের বার্তা এরই মধ্যে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে গেছে। এটাকে আরও দৃঢ়ভিত্তি ও অপরিবর্তনীয় করার জন্য, এখন এর বৈরি শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই যাতে পিছপা হতে না হয়, সেটাকে নিশ্চিত করতে হবে। এবং সেই পথেই গণচীন অগ্রসর হচ্ছে বলে তিনি মনে করি।
সুতরাং যে পরিকল্পনা এবং যে স্বপ্ন চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও তার নেতা কমরেড সি চিনপিং বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন, সেই স্বপ্নের পথ আরও নতুন নতুন সাফল্য বয়ে আনবে এবং সারাবিশ্ব এতে উপকৃত হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের।
মাহমুদ হাশিম
ঢাকা ব্যুরো
সিএমজি বাংলা।