চীন ও বাংলাদেশ: ‘হৃদয় থেকে হৃদয়ে, ভবিষ্যতে’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং প্রস্তাবিত বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বৈশ্বিক নিরাত্তা উদ্যোগ ও বিশ্বসভ্যতা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের বিশ্বসম্প্রদায় গড়ে তুলতে চীনের এ সব প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মহল ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। এ সব প্রস্তাব বাস্তবায়নে একটি মূল হাতিয়ার ‘বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগ’-বিআরআই’র ১০ বছর পূর্তির কথাও তুলেও ধরেন তিনি।
নিবন্ধের দ্বিতীয় অংশে চীন-বাংলাদেশের গভীর সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম বিআরআই উদ্যোগে যোগ দেয়। আর এর সুফলও বাংলাদেশে পাচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। বিআরআইয়ের আওতায় রেলসংযোগসহ বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, দাশেরকান্দি পয়য়োঃশোধনাগার, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলসহ আরও অনেক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অনেকগুলো বাস্তবায়নাধীন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন নিবন্ধে লিখেছেন, দুই জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, যৌথ উন্নয়ন এবং উভয়ের জন্য সমান লাভজনক সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২০১৬ সালে দু’দেশের সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতার স্তরে উন্নীত হয় এবং ২০১৯ সালে তা আরও গভীরতর হয়।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই নেতা দু’দেশের সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়নে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় পুনরুজ্জীবনে চীন বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। অন্যদিকে, একচীন নীতির বিষয়ে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করে বেইজিং।