চীন ও বাংলাদেশ: ‘হৃদয় থেকে হৃদয়ে, ভবিষ্যতে’
১ অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। ক্রোড়পত্রে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের একটি সুলিখিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এবং চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে।
চীনা রাষ্টদূতের নিবন্ধটি দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত। এর প্রথম অংশে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের গতিশীল নেতৃত্বে চীনের বিস্ময়কর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির একটি সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছেন। নিবন্ধের দ্বিতীয় অংশে তিনি চীন-বাংলাদেশ চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ ও সযোগিতামূলক সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
নিবন্ধের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন লিখেছেন, ‘গত ৭৪ বছরে চীনের কমিউনস্ট পার্টির (সিপিসি) বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চীন যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে আর সৃষ্টি করেছে দুটি বিস্ময়, বিশ্বের অন্য কোথাও যার জুড়ি মেলা ভার, যেমন দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক স্থিতিশীলতা’।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার নিবন্ধে আরও বলেছেন, চীন যে শুধু চীনা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সমাজতন্ত্রের পথ ধরে নিজের জনগণ ও মাতৃভূমির গভীর উন্নয়ন সাধন করেছে তা নয়, বরং চীনের উন্নয়নের ফলে গোটা বিশ্ব লাভবান হয়েছে এবং এর মাধ্যমে চীন গোটা বিশ্বকেই একটি উন্নত স্থানে পরিণত করতে পেরেছে। সর্বক্ষেত্রে একটি মধ্যপন্থী সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের মাধ্যমে চীন তার প্রথম শতবর্ষী লক্ষ্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন এখন একটি মহান আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার দ্বিতীয় শতবর্ষী লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
করোনা মহামারির পর চীনের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন লিখেছেন, বিশ্ব অর্থনীতি একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেলেও চীন তার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিয়েছে।