বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সামরিক শিক্ষা
এ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে চাং বলেন, “অতীতে লাল ফৌজের সৈন্যরা শত্রুদের আর্টিলারি আক্রমণের সম্মুখীন হয়ে, কঠোর পরিস্থিতিতে, তুষারের পাহাড় ও তৃণভূমি অতিক্রম করেছেন। তাঁরা ২৫ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন। আমাদের এ সামরিক প্রশিক্ষণের ২০ কিলোমিটার সে তুলনায় কিছুই নয়।”
শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ একাডেমির মাস্টার্স শিক্ষার্থী এবং সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সহকারী পরামর্শক চাং সিয়াও আই বলেন, “অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ২০ কিলোমিটারের যাত্রা বেছে নিয়েছেন এবং অনেকে কষ্ট হলেও যাত্রা সম্পন্ন করেছেন। এ যাত্রায় কেউ ক্লান্তি বা কষ্টের কথা বলেননি।”
তিনি আরও বলেন, এবার সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্সে, চীনা লাল ফৌজের ‘লংমার্চ’ যাত্রায় অর্জিত অভিজ্ঞতার কথা নতুন করে স্মরণ করেন শিক্ষার্থীরা। লাল ফৌজের সৈনিকরা ক্ষুধা, বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ, কুওমিনতাং পার্টির বাহিনীর আক্রমণ সহ্য করেছিলেন। সামরিক কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পূর্বপুরুষদের সেই কষ্ঠ, আত্মত্যাগ, ও সাহসী সংগ্রামের চেতনা বুঝতে সক্ষম হন।
চলতি বছর চীনের নিজের তৈরি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ৬০তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্সের শেষ দিকে, চীনের সুবিখ্যাত কয়েকজন বিজ্ঞানীর বোর্ডও প্রদর্শন করা হয়। এসব প্রদর্শনী বোর্ডের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার সময় চীনের দুর্বলতা, চীনা বিজ্ঞানীদের দেশ-উন্নয়নের নিরলস প্রচেষ্টা ও দেশপ্রেমের চেতনা ছাত্রছাত্রীরা ভালো করে জানতে পারে।
সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সহকারী পরামর্শক হিসেবে চাং সিয়াও আই নতুন ছাত্রছাত্রীদের সাথে থাকতে বেশ পছন্দ করেন। কারণ, নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দেশের প্রতিরক্ষার ধারণা ও গুরুত্ব ভালো করে বুঝতে পারে। তাই, এমন উদ্যোগ তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ।