বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সামরিক শিক্ষা
প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের বিভিন্ন পর্যায়ের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়। কিছু কিছু মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে সেমিস্টারের শুরুতে কয়েক সপ্তাহের জন্য হালকা ধরনের সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। তবে, দেশজুড়ে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের শুরুতে এ ধরনের হালকা সামরিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সাধারণত এ কার্যক্রম দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে ক্যাম্পে অবস্থান করে ও সাধারণ সৈনিকদের মতো দৈনন্দিন শরীরচর্চা ও প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করে। তবে, কোনো শিক্ষার্থী যদি এ ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে উপযুক্ত না হয়, তবে চিকিত্সকের সনদ জমা দিয়ে রেহাই পেতে পারে। এ ধরনের প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করা। আজকের অনুষ্ঠানে শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের সামরিক প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা ও তাদের অনুভূতি তুলে ধরবো।
যেমনটা আগেই বলেছি, চীনের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের হালকা ধরনের সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। সাধারণত মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর, ছাত্রছাত্রীরা সপ্তাহব্যাপী সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ সারা দেশেই বাধ্যতামূলক।
শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক তথ্য ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমির অনার্স শিক্ষার্থী চাং ইয়ু সিউয়ান তাঁর তৃতীয় বারের সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তির পরও তাকে দু’বার সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স তাঁর মনে বিশেষ দাগ কেটেছে।