বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সামরিক শিক্ষা
শিক্ষার্থী চাং মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সময় তুলনামূলকভাবে বেশি এবং প্রশিক্ষণের কার্যক্রম আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষার্থীরা বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেশ প্রতিরক্ষার ব্যাপারে আরও সঠিক ও স্পষ্ট ধারণা পায়। সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের দেশপ্রেমের চেতনা বৃদ্ধি পায়। তাঁরা তখন এ ধরনের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ‘প্রতিরক্ষা শিক্ষা আইন’ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। তখন থেকে প্রতিরক্ষাসংশ্লিষ্ট শিক্ষা চীনের বিভিন্ন স্কুলের একটি গুরত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের প্রতিরক্ষার তত্ত্ব, জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে নির্দিষ্ট মানদন্ড প্রণয়ন করা হয়েছে।
চলতি বছরের নতুন সেমিস্টারে চীনের বিভিন্ন এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয়েছে। এমন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা কেবল শরীরচর্চা করে না, বরং একসাথে কাজ করার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়।
এবার শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্সের মূল বিষয় লাল ফৌজের ‘লংমার্চ চেতনা’ স্মরণ ও উত্তরাধিকার করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০০০ জনেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবার সামরিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা রাত ৮টা থেকে যাত্রা শুরু করে প্রায় ৪ ঘন্টার বেশি সময় হাঁটেন এবং অতিক্রম করেন মোট ২০ কিলোমিটার পথ। ভোররাত ১টা পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে, ১৫ কিলোমিটার আর ২০ কিলোমিটারের যাত্রা নির্ধারণ করা হয়। শিক্ষার্থী চাং বলেন, শুরুতে ১৫ কিলোমিটার হাঁটতে চেয়েছিলেন। পরে দেখলেন, অনেক ছাত্রছাত্রী ২০ কিলোমিটার পথ হাঁটার অপশন বেছে নিয়েছে। দেখাদেখি তিনি নিজেও আরও ৫ কিলোমিটার বেশি হাঁটেন।