চীনে বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর যেভাবে দর্শকদের চাহিদা মেটাতে পারে
চীনের বিভিন্ন এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরগুলোর বেশ কয়েকটি সাধারণ মানুষও পরিদর্শন করতে পারেন। নানচিং বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের কথাই ধরা যাক। ২০২৩ সালে নানচিং বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর ৪২ হাজার ২১৫ জন দর্শক আকর্ষণ করে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের দর্শকের সংখ্যা ছিল ৬৯৪২ জন। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে বাইরের দর্শক আকৃষ্টি হয়েছে ৫ হাজারের বেশি। নানচিং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমরাস্ত্র জাদুঘরে, ২০২৩ সালের আগ পর্যন্ত, গড়ে প্রতি বছর ৩০ হাজার দর্শক আকর্ষণ করতো। তবে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত, দর্শকের মোট সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি ছিল। আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর পাবলিকের জন্য পুরোপুরি খোলা হয়নি। শুধু দলীয় পরিদর্শনের জন্য এসব জাদুঘর নিবন্ধন করে থাকে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, বিভিন্ন জাদুঘরের অবস্থা আলাদা। কিছু কিছু জাদুঘরের প্রদর্শনী হল পুরনো হয়ে গেছে, সংশ্লিষ্ট মেরামতের বাজেটের অভাব, এবং পেশাদার মেরামতকারীও নেই। তা ছাড়া, জাদুঘরে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা ও দর্শকদের অভ্যর্থনার ক্ষমতাও দুর্বল। তাই একসাথে অনেক বেশি দর্শককে পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।
নানচিং বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের উপপ্রধান চাও তুং শেং মনে করেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত নিজ নিজ জাদুঘরে রাখা শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার আরও প্রাণবন্ত করার চেষ্টা করা, শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্বের সামনে চীনের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা। গত বছরের অক্টোবর মাসে নানচিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সিয়ানলিন ক্যাম্পাসে ‘তুংচিন আমলের (৩১৭ সাল থেকে ৪২০ সাল পর্যন্ত) কবর প্রদর্শনী’ আয়োজিত হয়। এটি ৫০ বছর আগে আবিষ্কৃত কবরের প্রথম প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীর আয়োজনের সময় অধ্যাপকদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর বিশেষ কার্যক্রম যুক্ত করা হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রদর্শনীর বিশেষ স্যুভিনির ডিজাইন করা হয়। এটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।