যেভাবে বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবেন
এখন বেইজিংয়ের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে সাড়ে ৩টায় সব ক্লাস শেষ হয়। ক্লাসের পর স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠে শরীরচর্চা শুরু করেন। ক্রীড়া ক্লাস দৈনিক ক্লাস হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে বহুমুখী শরীরচর্চাকে উত্সাহ দিতে স্কুলে এক ঘন্টা, স্কুলের বাইরে এক ঘন্টার খেলাধুলার উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং শিক্ষা কমিটি। সকালের দৌড়, ক্লাসের মাঝখানে শরীরচর্চা, ক্লাসের ব্রেকে ব্যায়াম, ক্লাস শেষ করার পর শারীরিক শক্তির প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের মজার কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
তা ছাড়া, পরিবারের সদস্যদের সাথে শরীরচর্চা বাড়াতে এই ব্যবস্থা উত্সাহিত করছে। এখন বেইজিং মহানগরের বিভিন্ন এলাকার স্কুলে বৈশিষ্ট্যময় খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। যেমন, সিছেং এলাকায় বাচ্চারা স্কিপিং প্রতিযোগিতায় নিয়মিতভাবে অংশ নেয়। সবাই ভালো স্কিপিং করতে পারে। হাইতিয়ান এলাকায় প্রতিবছর স্কুলে ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। শিচিংশান এলাকার স্কুলে ক্লাসের বড় ব্রেকে বিভিন্ন ধরনের মজাদার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মিইয়ুন এলাকায় টানা ১৫ বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের দৌড়ের দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখন একসাথে দৌড়াদৌড়ি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন ক্লাসে পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতা ক্রীড়াচর্চার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিযোগিতা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শরীরচর্চা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেতনা উন্নয়নে সহায়ক। তারা পরিশ্রম ও সংগ্রামে ক্লাসের ক্রীড়াসাফল্য অর্জনে আরো বেশি চেষ্টা করতে চায়, একসাথে মর্যাদা পেতে চায়। এটি বাচ্চাদের চরিত্র গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।