যেভাবে বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবেন
আর বাবা-মার উত্সাহে বাচ্চা যখন নিজেই কোনো কাজ সম্পন্ন করে ফেল, তখন অবশ্যই তাদের প্রশংসা করতে হবে, উত্সাহ দিতে হবে। এ ধরনের প্রশংসা ও উত্সাহ বাচ্চাদের মানসিক উন্নয়নেও ইতিবাচক ভুমিকা পালন করে থাকে।
অনেক বাবা-মা বাচ্চাদের ধীর গতিতে কাজ করার অভ্যাস নিয়ে উদ্বিগ্ন। অনেকে বলেন, প্রাথমিক স্কুলে কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা করেছে বাচ্চারা, অথচ এখনও কাজে অনেক স্লো; কাজ করার সময় বা হোমওয়ার্ক করার সময় খেলে, মনোযোগ দিয়ে কোনো কাজ করে না। এটা একটা সমস্যা বটে। প্রশ্ন হচ্ছে: কিভাবে এমন সমস্যা মোকাবিলা করা যায়?
বেইজিং মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের পারিবারিক শিক্ষার পরামর্শক চু ইয়া মেই বলেন, ‘ধীর গতিতে কাজ করা’র বিষয়টি নিয়ে বাবা-মায়ের উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। বস্তুত, প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যখন কাজ বা হোমওয়ার্ক করার সময় অলসতা দেখায় বা ধীর গতিতে করে, তখন বুঝতে হবে তাদের সময়জ্ঞান কম। বড়দের তুলনায় সময় তাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। তারা মনে করে, একদিনে অনেক সময়, কাজ আস্তে আস্তে করলে সমস্যা নাই। এ ক্ষেত্রে পিতামাতার উচিত বাচ্চার সঙ্গে কথা বলা, তাদের সময়ের গুরুত্ব যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া। একবার বললেই বাচ্চা বুঝে যাবে, এমন নয়। বার বার বলতে হবে এবং এক্ষেত্রে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। বাচ্চাকে বোঝাতে নিজেদের জীবন থেকে উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে না-হক বাচ্চাকে বকাঝকা করা উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বেইজিংয়ে ক্রীড়া পর্যালোচনা-ব্যবস্থার সংস্কার প্রসঙ্গ
আগের অনুষ্ঠানে আমরা বলেছি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের শরীরস্বাস্থ্য এবং ক্রীড়া ও শিল্পকলাসহ বহুমুখী দক্ষতার উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে ক্রীড়া পর্যালোচনা-ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন যুগে বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যময় ক্রীড়া প্রকল্প বা খেলাধুলার বিষয় প্রশিক্ষণ দিতে উত্সাহ দেওয়া হয়। এখন বেইজিংয়ের বিভিন্ন এলাকার স্কুলে আনন্দময় ও আরামদায়ক ক্রীড়ার পরিবেশ অনুভব করা যায়।