বাংলা

যেভাবে বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবেন

CMGPublished: 2024-10-28 14:47:36
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

পরিবারে দাদা-দাদী বা নানা-নানীরা বাচ্চাকে ‘অতিরিক্ত সাহায্য’ দিতে আগ্রহী থাকে। তাঁদের দৃষ্টিতে বাচ্চারা নিজেরা কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট করে, বড়দের সাহায্য তাদের দরকার। খাওয়ার পর নিজে হাত ধুতে গেলে বাচ্চা নিজের কাপড়চোপড়ও ভিজিয়ে ফেলতে পারে, তখন হাত ধোয়ার পাশাপাশি কাপড়ও ধুতে হয়। আবার কাপড় পরতে গিয়ে বাচ্চা উল্টো করে পরতে পারে, তাদের দৃষ্টিতে তা সময়ের অপচয় বৈ আর কিছু নয়। বিশেষ করে, সকালে কিন্ডারগার্টেন বা স্কুলে যাওয়ার আগে ব্যস্ততা বেশি থাকে। তখন বড়রা, বিশেষ করে দাদা-দাদি ও নানা-নানিরা সময় বাঁচাতে বাচ্চাদের অতিরিক্ত সাহায্য দিয়ে থাকেন বা দিতে চান। এতে ধাপে ধাপে বাচ্চারা নিজেদের কাজ নিজেরা করার আগ্রহ হারাতে থাকে এবং তাদের স্বাবলম্বী হবার পথে না-হক বাধার সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বপ্রথমে পিতামাতার উচিত বাচ্চাদের বয়সভেদে স্বাধীনভাবে কাজ করা সুযোগ দেওয়া। যেমন, ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী বাচ্চাকে নিজের খাবার নিকে খেতে দিতে, কাপড়চোপড় পরতে দিতে হবে। ৪ থেকে ৫ বছর বয়সে বাচ্চাদের বাসার টেবিল পরিস্কার করতে ও নিজেদের গুছিয়ে রাখার কাজ করতে পারে। ৫ থেকে ৬ বছর বয়সের বাচ্চাকে নিজের স্কুলের ব্যাগ গুছানোর মতো কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এ সব কাজ করতে গিয়ে তারা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তখন তাদেরকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করে সমস্যা সমাধানের সুযোগ দিতে হবে।

কাজ যদি কঠিন হয়, তবে পিতামাতা বাচ্চাকে সাহায্য দিতে পারেন। যদি কাজের সময় বাচ্চা বাবা-মাকে সাহায্য করতে অনুরোধ করে, তখন সাহায্য করা বা উত্সাহ দেওয়া ভালো। কাজটা একেবারেই না পারলে, পিতামাতা সেটি করে দিতে পারেন, তবে তাকে পরবর্তীতে নিজেই কাজটা করতে হবে বলে জানিয়ে দিতে হবে। আর এ কারণে বাচ্চাকে কাজটা করার পদ্ধতি শিখতে উত্সাহিত করতে হবে। এভাবে দেখা যাবে, বাচ্চা একসময় কাজটা ঠিকঠাক করা শিখে যাবে।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn