যেভাবে বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবেন
ক্রীড়া পর্যালোচনা-ব্যবস্থার সংস্কারের ফলে এখন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মোটা বাচ্চার সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং তাদের মায়োপিয়ার পরিমাণও তুলনামূলক কমে গেছে।
বেইজিং মহানগরের শিক্ষা কমিটির জনৈক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের সংস্কারের লক্ষ্য বাচ্চাদের আনন্দের সাথে খেলাধুলা করার সুযোগ দেওয়া এবং নতুন প্রজন্মের চীনাদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও আনন্দময় পরিবেশ গড়ে তোলা।’ ২০২১ সাল থেকে বেইজিং মহানগর শিক্ষা কমিটি ‘বাধ্যতামূলক শিক্ষায় ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য পর্যালোচনা প্রস্তাব’ প্রকাশ করে। এতে ক্রীড়া পরীক্ষার স্কোর ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৭০ করা হয় এবং এ স্কোর মাধ্যমিক স্কুলের স্নাতক পরীক্ষার মোট স্কোরের সাথে যোগ করার নিয়ম করা হয়। বিভিন্ন সেমিস্টারে ক্রীড়ার স্কোর মোট ৪০ এবং মাধ্যমিক স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার আগে ফাইনাল ক্রীড়া পরীক্ষার স্কোর ৩০। তা ছাড়া, পরীক্ষায় খেলাধুলার ধরণ ৮ থেকে ২২তে উন্নীত করা হয়েছে।
চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্রীড়ার স্কোরের সাথে ৪০ স্কোর যুক্ত করা এ সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট ক্রীড়ায় পাস করলে একজন শিক্ষার্থী পুরো ৪০ স্কোর পেতে পারে। এ নিয়ম বিভিন্ন বয়সের ছাত্রছাত্রীদের ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে এবং তাদেরকে শরীরচর্চায় আগ্রহী করে তুলছে।
গত ৩ বছরে নতুন পর্যালোচনা-ব্যবস্থার কারণে, বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের শরীরের অবস্থা উন্নত হয়েছে এবং শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের বিভিন্ন এলাকায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ক্রীড়া পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠ স্কোর অর্জনকারীর সংখ্যাও দ্রুত বেড়েছে। বেইজিং মহানগরের স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য কমিটির পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালে বেইজিংয়ে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্তদের সংখ্যা ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বলা যায়, নতুন ক্রীড়া পর্যালোচনা-ব্যবস্থা বাচ্চাদের সময়মতো শরীরচর্চা এবং পিতামাতাদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও শরীরের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করেছে।