টানা ৩২ বছর ধরে ৪২০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে অর্থ-সহায়তা দিয়েছেন লি ই ফেই
যখন শিক্ষার্থীরা জনাব লির বাড়িতে আসতেন, তখন তিনি সবসময় তাদের জন্য রান্না করতেন। লি ভালো করে রান্না করতে পারেন। সাধারণ শাকসবজি তাঁর হাতে বেশ সুস্বাদু খাবারে পরিণত হয়। তাঁর তৈরি ডাম্পলিং সবচেয়ে মজার খাবার। ছেলে মেয়েরা বলে, এ ডাম্পলিংয়ের সুগন্ধ আজীবন ভোলার নয়; খেতে বেশ মজার।
ইয়ুননান চীনা চিকিত্সা ও মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তুয়ান ফেং মেই বলেন, দাদা লি মানচিত্র দেখতে পছন্দ করেন। কারণ, বয়স্ক হওয়ার পর তিনি আগের মতো দূরের জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের দেখতে যেতে পারেন না। তাই, শুধু মানচিত্রের মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর সহায়তাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্মস্থান কোথায়।
হ্যনান চীনা চিকিত্সা ও মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করা ডাক্তার লিয়াং তা ইয়ুন বলেন, দাদা লি’র বাড়ির ব্যালকনিতে দুটি সবুজ উদ্ভিদ আছে। তিনি ভালো করে এ উদ্ভিদের যত্ন নেন। ডাক্তার লিয়াং বলেন, জনাব লি সবসময় ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকতেন।
প্রায় ২ বছর আগে তিনি ইয়ুননান চীনা চিকিত্সা ও মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মৃতদেহ দানকারী চুক্তি স্বাক্ষর করেন। মৃত্যুবরণের পর চিকিত্সাকাজে নিজের অবদান রাখতে চান তিনি। এ সম্পর্কে অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, জনাব লি বেশ নিঃস্বার্থ ও সাহসী ব্যক্তি। তিনি যেন আলোর মতো অন্যদের জন্য ঠিক দিক-নির্দেশনা করেন।
এখন স্নাতক ছাত্রী ছাও হং মেই ইয়ুননান প্রদেশের ত্যহং তাই জাতি ও চিংপো জাতির অধ্যুষিত এলাকার ইংচিয়াং জেলার খাছাং উপজেলার সরকারে কাজ করছেন। তাঁর হার্টের অবস্থা মোটামুটি ভালো। তিনি বলেন, দাদা লি’র সহায়তায় আমি দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি। আমি তাঁর মতো যথাযথ প্রচেষ্টা চালিয়ে অন্যদের সহায়তা দিতে চেষ্টা করছি।